Pee at Plane: ‘মহিলা নিজেই করে ফেলেছিলেন’, বিমানে প্রস্রাব কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর দাবি অভিযুক্তের

Pee at Air India Plane: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে প্রস্রাব কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। মহিলা যাত্রীই না কি প্রস্রাব করে ফেলেছিলেন, দাবি অভিযুক্তের।

Pee at Plane: 'মহিলা নিজেই করে ফেলেছিলেন', বিমানে প্রস্রাব কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর দাবি অভিযুক্তের
প্রস্রাব কান্ডে অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2023 | 4:31 PM

হায়দরাবাদ: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে প্রস্রাব কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি), দিল্লির এক নিম্ন আদালতে বৃদ্ধা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করলেন অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্র। এদিন আদালতে তিনি দাবি করেছেন যে, তিনি ওই কাজ করেননি। বরং তাঁর দাবি, তাঁর বৃদ্ধা সহযাত্রী নিজেই আসনে বসে প্রস্রাব করে ফেলেছিলেন। অথচ, এতদিন শঙ্কর মিশ্রের বিরুদ্ধেই ওই সত্তরোর্ধ মহিলার গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠেছে। নয়া দিল্লি বিমান বন্দরে অবতরণের পর, ওই মহিলার কাছে তাঁর কৃত কর্মের জন্য লিখিতভাবে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।

এদিন আদালতে শঙ্কর মিশ্রের আইনজীবী দাবি করেন, শঙ্কর মিশ্র তাঁর সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে ফেলেননি। তিনি দাবি করেন, ওই বৃদ্ধার শরীর স্বাস্থ্য ভাল নেই। তিনি নিজেই না কি তাঁর আসনে বসেই প্রস্রাব করে ফেলেছিলেন। শঙ্কর মিশ্রের আইনজীবী আরও এক অদ্ভূত দাবি করেন। তাঁর মতে বৃদ্ধা মহিলা ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতনাট্যম নাচতেন। তিনি আরও বলেন, ৮০ শতাংশ ভারতনাট্যম নৃত্যশিল্পীই না কি অসংযমী প্রস্রাবের সমস্যার ভোগেন। শঙ্কর মিশ্রের আইনজীবী আরও বলেন, “তিনি (বৃদ্ধা যাত্রী) প্রস্টেট গ্রন্থি সংক্রান্ত কোনও সমস্যার ভুগছিলেন। শুধু তিনিই (শঙ্কর মিশ্র) নন, আসন ব্যবস্থাই এমন ছিল যে কারোর পক্ষেই ওই মহিলার আসনের কাছে যাওয়া সম্ভব ছিল না।”

শঙ্কর মিশ্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে হেফাজতে নিতে চেয়ে দিল্লির দায়রা আদালতে আবেদন করেছিল দিল্লি পুলিশ। সেই আবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে নোটিশ পাঠিয়েছিল দায়রা আদালত। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক হরজ্যোৎ সিং ভাল্লার এজলাশে এই মামলার শুনানি হয়। গত বুধবার, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টেও শঙ্কর মিশ্রের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করেছিল দিল্লি পুলিশ। অন্যদিকে শঙ্কর জামিনের আবেদন করেছিলেন। দুই আবেদনই খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোমল গর্গ শঙ্করের কৃতকর্মকে ‘অত্যন্ত ঘৃণ্য এবং জঘন্য’ বলেছিলেন। তিনি আরও বলেন, এই কাজ “মানুষের নাগরিক চেতনাকে ধাক্কা দিয়েছে। এর তীব্র নিন্দা করা দরকার৷” শঙ্কর মিশ্রকে ১৪ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।