Bihar National Highway: জাতীয় সড়ক না ‘টাকেশিজ় কাসেল’? যতদূর চোখ যায় শুধুই গর্ত আর গর্ত…

Bihar National Highway: বিহারের মধুবনী জেলায়, ২২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক জুড়ে তৈরি হয়েছে বিশাল বিশাল গর্ত। যা নিয়ে নীতীশ কুমার সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব প্রমুখ।

Bihar National Highway: জাতীয় সড়ক না 'টাকেশিজ় কাসেল'? যতদূর চোখ যায় শুধুই গর্ত আর গর্ত...
এটা না কি জাতীয় সড়ক!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2022 | 8:29 PM

পটনা: ভারতে যে কোনও টায়ার সংস্থার বিজ্ঞাপনেই দেখা যায় গর্তময় রাস্তার ছবি। ভারতের রাস্তায় যে কী পরিমাণ গর্ত থাকে, তা এই বিজ্ঞাপনগুলির আখ্য়ানেই স্পষ্ট। তাই ভারতের কোনও রাস্তায় গর্ত দেখতে পাওয়াটা কোনও বড় খবর নয়। কিন্তু, রাস্তাটি যদি জাতীয় সড়ক হয়, আর সেই রাস্তার পুরোটা জুড়েই থাকে একের পর এক বিরাট মাপের গর্ত, তাহলে সেটা ভাবনার বিষয় বৈকি। আর সেই গর্তগুলি এতটাই বড়, যে জাতীয় সড়কের পুরো প্রস্থ জুড়েই রয়েছে সেগুলি। যতদূর চোখ যাচ্ছে, ততদূরই দেখা যাচ্ছে গর্তগুলি। এই বিরল দৃশ্য দেখা গেল বিহারের মধুবনী জেলায়, ২২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে। যা নিয়ে নীতীশ কুমার সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর থেকে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও।

২২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ওই উদ্বেগজনক অবস্থার ছবি প্রকাশিত হয়েছে হিন্দি সংবাদপত্র, ‘দৈনিক ভাস্কর’-এ। ওই পত্রিকার এক চিত্র সাংবাদিক রাস্তাটির একটি এরিয়াল ভিডিয়ো তুলেছেন। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দীর্ঘ রাস্তাটি জুড়ে একের পর এক শুধুই গর্ত রয়েছে। সেই গর্তগুলিতে জলও জমে রয়েছে। এক ইঞ্চিও মসৃণ রাস্তা নেই। রাস্তাটির ছবি দেখে নেটিজেনদের অনেকেই ২২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ওই অংশটিকে জনপ্রিয় জাপানি গেম শো ‘টাকেশিজ় কাসেল’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। প্রসঙ্গত, ওই গেম শোতে এমন কিছু দৌড় প্রতিযোগিতা রাখা হয়, যেখানে লক্ষ্যে পৌঁছনোর পতে প্রতিযোগীদের একের পর এক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। দৈনিক ভাস্করের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সাল থেকেই জাতীয় সড়কটি ওইরকম জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। রাস্তাটি মেরামতের জন্য এখনও পর্যন্ত তিনবার দরপত্র চাওয়া হয়েছে। কিন্তু, বারংবার ঠিকাদাররা কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে গিয়েছেন।

একয়ময় জেডিউই দলের সহ-সভাপতির পদে থাকলেও, বর্তমানে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সবথেকে বড় সমালোচক ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। জাতীয় সড়কের এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর, নীতীশকে বিঁধতে ছাড়েননি পিকে। হিন্দিতে টুইট করে তিনি বলেছেন, ‘বিহারের মধুবনী জেলার ২২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ৯০-এর দশকে জঙ্গলরাজ চলাকালীন বিহারের রাস্তাগুলির অবস্থার কথা মনে করিয়ে দেয়। সম্প্রতি, নীতীশ কুমারজি এক অনুষ্ঠানে সড়ক নির্মাণ বিভাগের কর্তাদের বলেছিলেন, বিহারের রাস্তার দুর্দান্ত অবস্থার কথা সকলকে জানানো উচিত।’

অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, তেজস্বী যাদবও জাতীয়. সড়কের এই নিদারুণ অবস্থা নিয়ে তীব্র ব্যঙ্গ করেছেন। এনডিএ-র ডবল ইঞ্জিন সরকারের আখ্যান, কিংবা, তাঁকে যুবরাদ বলে ডাকা – সব বিষয় নিয়েই পাল্টা আক্রমণ করেছেন তেজস্বী। হিন্দিতে টুইট করে তিনি বলেছেন, ‘এই জঙ্গলরাজের যুবরাজ কে, বলুন তো মহারাজ? কথিত ডবল ইঞ্জিন সরকার, ৪০ জন সাংসদের মধ্যে ৩৯ জন (এনডিএ-র), এনডিএ সরকারের ১৭ বছর, এখনও জাতীয় সড়কের এমন বেহাল দশা?এই দুর্দশার জন্য দায়ী কে? বলুন তো, ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজা?’