JNU Meat Controversy : রামনবমীতে মাংস খাওয়া নিয়ে উত্তপ্ত জেএনইউ, হস্টেল ভাঙচুরের অভিযোগ
JNU Meat Conspiracy : রামনবমীতে মাংস নিয়ে জেএনইউ-র ছাত্রাবাসে ঢোকা যাবে না। এরকমই দাবি করেছেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের ছাত্র নেতারা। মাংস নিয়ে ছাত্রাবাসে ঢোকার জন্য মেস সেক্রেটারিকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে এবিভিপি-র বিরুদ্ধে।
নয়া দিল্লি : দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে রামনবমী। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বজরং দলের কর্মীরা অস্ত্র হাতে এবং ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান তুলে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় পায়ে পা মিলিয়েছে। পা মিলিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির একাধিক নেতাও। এদিকে রামনবমী উদযাপনকে কেন্দ্র করেই অদ্ভূত কাণ্ড ঘটে গেল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU)। রামনবমীতে মাংস নিয়ে গন্ডগোল বাঁধল জেএনইউতে। রামনবমীতে মাংস নিয়ে জেএনইউ-র ছাত্রাবাসে ঢোকা যাবে না। এরকমই দাবি করেছেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের ছাত্র নেতারা। মাংস নিয়ে ছাত্রাবাসে ঢোকার জন্য মেস সেক্রেটারিকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে এবিভিপি-র বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে যে, তাঁরা হস্টেলে ঢুকে ভাঙচুরও করেছেন।
এদিন দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে রামনবমী। এদিকে রবিবারের দিন। সপ্তাহের এই দিনে খাবারের মেনুতে থাকে মাংস। সেই নিয়মেও আজ জেএনইউ-র কাবেরী হস্টেলে মাংস আসে। সেই নিয়েই লুস্থুলু কাণ্ড বেঁধে যায় হস্টেল চত্বরে। নিয়মমতো হস্টেলের মেসে মাংস দিতে এসেছিলেন। সেইসময় তাঁকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তির ওঠে এবিভিপি-র বিরুদ্ধে। রামনবমীতে কেন হস্টেলে মাংস ঢুকেছে? এই প্রশ্নে এবিভিপি-র নেতা-নেত্রীরা মেসের সেক্রেটারিকে মারধর করে। হস্টেলে ঢুকেও তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এবিভিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ছাত্র সংসদের নেত্রী।
এদিকে এই ঘটনায় টুইটারেও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জেএনইউ এর ছাত্র সংসদের নেত্রী ঐশী ঘোষ। তিনি টুইটারে লিখেছেন, “আমরা কী খাব এবং কী খাব না তা বলে দেওয়ার জন্য এই এবিভিপি গুন্ডারা কে?” তিনি জেএনইউ এর কর্তৃপক্ষের দিকেও প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, “জেএনইউ কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের অধিকার নিশ্চিত করতে এই ঘটনায় কোনও হস্তক্ষেপ করল না?”
আরও পড়ুন : Srinagar Encounter : শ্রীনগরে সিআরপিএফ জওয়ান ও সন্ত্রাসবাদীদের এনকাউন্টার, মৃত দুই পাকিস্তানি জঙ্গি
আরও পড়ুন : AIFB changes party flag: বিধি বাম কাস্তে-হাতুড়ি! ভোল বদলে জাতীয়তাবাদে ধার বাড়াচ্ছে নেতাজির ফরওয়ার্ড ব্লক