ICMR Serosurvey: ৬০ শতাংশ শিশু ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত, চমকে দেওয়া তথ্য আইসিএমআর সেরো সার্ভেতে
Third wave of COVID 19: সম্প্রতি আইসিএমআরের এক সেরো সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৬০ শতাংশ শিশু কোনও না কোনও সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল।
নয়া দিল্লি: করোনার (COVID 19) দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কিছুটা সামাল দিয়ে উঠেছে ভারত। কিন্তু এরই মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ (Coronavirus Third Wave)। আমজনতা সচেতন না হলে, যে কোনও মুহূর্তে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে সবথেকে বেশি সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা শিশুদের। এমনটাই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এবার সেই উদ্বেগ আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিল আইসিএমআরের (ICMR) সাম্প্রতিক সেরো সার্ভে। সেরো সার্ভেতে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৬০ শতাংশ শিশু ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গিয়েছে।
দিল্লি এইমের সেন্টার ফর কমিউনিটি মেডিসিনের অধ্যাপক চিকিৎসক সঞ্জয় রাই জানিয়েছেন, সম্প্রতি আইসিএমআরের এক সেরো সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৬০ শতাংশ শিশু কোনও না কোনও সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে করোনায় মৃত্যুর হার অনেকটাই কম। প্রতি দশ লাখ করোনা আক্রান্ত শিশুর মধ্যে দুই জনের মৃত্য়ু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সমীক্ষায়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে (India) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ১৩২ জন। গতকাল ১৮ হাজার ১৬৬ জন। এদিকে, আবার করোনাকে (Corona) হারিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা সামান্য কমেছে। ২১ হাজার ৫৬৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এদিকে, ওঠা-নামা করছিল দেশের মৃত্যুর (Corona Death) গ্রাফ। একদিনে মৃতের সংখ্যা স্থিতিশীল নয়। গত একমাস যাবত সংখ্যাটা কখনও বড়ে ৩০০-র গণ্ডি ছুঁয়েছে। কখনও বা কমে ২০০ ঘোরাফেরা করেছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু আরও কমে ১৯৩ জন।
উৎসবের মরশুমে কেরলে (Kerala) বেড়ে গিয়েছিল আক্রান্তের সংখ্যা। বিগত কয়েকদিন সংখ্যাটা কখনও বেড়েছে কখনও বা কমেছে। তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হচ্ছে কেরলে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৬৯১ জন । এর আগে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছিল। কিন্তু পুনরায় সংখ্যাটা বেড়ে গিয়েছে।
এদিকে লোকাল সার্কলস নামে এক অনলাইন পোলিং প্ল্যাটফর্ম সম্প্রতি এক সমীক্ষা চালিয়েছিল। সোমবার সেই সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে ওই সংস্থা। তাতে দেখা যাচ্ছে, সমীক্ষায় যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁদের এলাকার লোকেরা ‘ভাল সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলছেন’, বাকি ৯৪ শতাংশের বেশিরভাগই জানিয়েছেন, তাঁদের এলাকায় সামাজিক দূরত্ববিধি সব শিকেয় উঠেছে। অথবা সামান্য কিছু মানুষের মধ্যে তা সীমিত হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন : COVID 19: দেশের মাত্র ৬ শতাংশ মানুষই সাক্ষী শারীরিক দূরত্ববিধির, ‘প্যান্ডেল হপিং’ করুন সাবধানে…