Coal Crisis: উৎসবের মাঝেই আঁধারে ডুবে যাওয়ার ভয় একাধিক রাজ্যে, আশার কথা শোনাল সরকার

Centre on Coal Crisis: বিদ্য়ুৎ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, একাধিক কারণে কয়লা সঙ্কট দেখা গিয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হল বিদেশ থেকে আমদানি করা কয়লার মূল্য়বৃদ্ধি।

Coal Crisis: উৎসবের মাঝেই আঁধারে ডুবে যাওয়ার ভয় একাধিক রাজ্যে, আশার কথা শোনাল সরকার
কবে মিটবে কয়লা সঙ্কট? ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 10, 2021 | 8:55 AM

নয়া দিল্লি: উৎসবের মুখেই অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে দিল্লি (Delhi), রাজস্থান (Rajasthan), মধ্য প্রদেশ (Madhya Pradesh) সহ একাধিক রাজ্য। দেশ জুড়ে যে কয়লা সঙ্কট (Coal Crisis) দেখা দিয়েছে, তার প্রভাবেই অন্ধকারে ডুবতে পারে একাধিক রাজ্য। ইতিমধ্যেই রাজস্থানে কবে, কখন বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে, তা নিয়েও পরিকল্পনা করা হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই আশার আলো দেখাল কেন্দ্রীয় সরকার। জানানো হল, শীঘ্রই বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্ল্যান্ট (Power Plant)-গুলিতে কয়লার সরবরাহের পরিমাণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহেই জানা যায়, দেশের কয়লা ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই অন্ধকারে ডুবতে পারে একাধিক রাজ্য। বিদ্যুৎ সঙ্কটের হাত থেকে রক্ষা পেতে রাজস্থান সরকার কয়েক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়।  গতকাল দিল্লি সরকারের তরফেও উদ্বেগ প্রকাশ করে জানানো হয়, যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা সরবরাহ না করা হয়, তবে আগামী দুদিনের মধ্যেই অন্ধকারে ডুবে যাবে রাজধানী। পঞ্জাবেও দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ পরিষেবা থাকছে না বলেই জানা গিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতেই বিদ্য়ুৎ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, একাধিক কারণে কয়লা সঙ্কট দেখা গিয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হল বিদেশ থেকে আমদানি করা কয়লার মূল্য়বৃদ্ধি। এছাড়াও বর্ষার কারণে কয়লা উত্তোলন কমে গিয়েছে গোটা দেশে। কয়লা এক জায়গা থেকে অন্যত্র সরবরাহ করতেও সমস্য়া হচ্ছে। আচমকা বিদ্য়ুতের চাহিদা বৃদ্ধিও একটি বড় কারণ। সব মিলিয়ে আগামী ক’দিন বিদ্যুৎ সরবরাহে বেশ ঘাটতি দেখা দিতে পারে মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ ও মধ্য প্রদেশে, এমনটাই জানিয়েছে বিদ্য়ুৎ মন্ত্রক।

সরকারের তরফে জানানো হয়েছে,  কয়লা মন্ত্রকের অধীনে একটি দল গঠন করা হয়েছে। ওই বিশেষ পর্যবেক্ষক দলই সপ্তাহে দু’বার মজুত কয়লার পরিমাণ যাচাই করছেন। কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড ও কয়লা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তারা সর্বসম্মতভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন কয়লা উৎপাদন ও সরবরাহের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে।আগামী তিনদিনের মধ্যেই ১.৬ মিলিয়ন টন উৎপাদন করার চেষ্টা করা হবে এবং তারপর থেকে প্রতিদিন ১.৭ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদন করা হবে।

উৎপাদন বাড়লে ধীরে ধীরে মজুত কয়লার পরিমাণও বাড়বে এবং যে ভয়ঙ্কর সঙ্কটের আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা কিছুটা হলেও এড়ানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রক।

বর্তমানে দেশে তাপবিদ্য়ুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৫টি। অগস্টের দোরগোড়াতেই একবার কয়লা সঙ্কট চরমে উঠেছিল। সেই সময় দেশে ১৩ দিনের কয়লা মজুত ছিল বলে জানা গিয়েছিল। এ বারের পরিস্থিতি আরও গুরুতর। কারণ যে পরিমাণ কয়লা দেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে মজুত রয়েছে, তাতে কেবল হাতে গোনা কয়েক দিনই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব। অবিলম্বে যদি সরবরাহ সমস্যার সমাধান না করা যায়, তবে বিদ্যুৎ সঙ্কট অবশ্য়ম্ভাবী হয়ে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে চিন-জুড়ে বিদ্যুৎ সঙ্কট চলছে। কয়লার অপ্রতুলতার কারণেই এই অবস্থা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন, এ বার কি একই ধরনের সঙ্কটের মুখোমুখি হবে ভারতও?

আরও পড়ুন: India-China Relation: হট স্প্রিং থেকে কি সরবে সেনা? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে মুখোমুখি ভারত-চিন