নয়া দিল্লি: ট্রাক্টর র্যালিকে (Tractor rally) কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র রাজধানী। পুলিস-অন্নদাতা সংঘর্ষে উত্তপ্ত দিল্লি। এদিন লালকেল্লায় ঢুকে পড়েন আন্দোলনরত কৃষকরা। পতাকা লাগিয়ে দেন লালকেল্লার চূড়ায়। ট্রাক্টর উল্টে মৃত্যুও হয় এক কৃষকের। সব মিলিয়ে রাজধানীর একাংশ জুড়ে অবনতি হয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। কৃষকদের এহেন আন্দোলনের সমালোচনায় মুখর কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি-সহ দেশের বিভিন্ন দলের নেতারা। তার মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভল্লা ও দিল্লির পুলিস কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তবের উপস্থিতিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন অমিত শাহ। দিল্লির বিভিন্ন অংশে কৃষক আন্দোলনের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন তিনি। সূত্রের খবর এই বৈঠকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকতে পারে। ইতিমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য দিল্লির বেশ কিছু অংশে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘হিংসা সমস্যার সমাধান নয়’, আন্দোলনকারীদের স্মরণ করালেন রাহুল
हिंसा किसी समस्या का हल नहीं है। चोट किसी को भी लगे, नुक़सान हमारे देश का ही होगा।
देशहित के लिए कृषि-विरोधी क़ानून वापस लो!
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) January 26, 2021
ট্রাক্টর র্যালির সমালোচনায় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) মঙ্গলবার দুপুরে টুইট করেন। তিনি লেখেন, “হিংসা কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আহত যেই হন না কেন, লোকসান আমাদেরই দেশের।” এরপরই কেন্দ্রের উদ্দেশে আবেদনের সুরে তিনি লেখেন, “দেশের স্বার্থে কৃষক-বিরোধী এই আইন প্রত্যাহার করুন।” সমালোচনায় টুইট করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরও। তিনি লিখেছেন, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমি প্রথম থেকেই কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করে এসেছি। তা বলে আমি অনাচারকে প্রশ্রয় দিতে পারি না। প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো দিনে পবিত্র জাতীয় পতাকা ছাড়া আর কোনও পতাকা লাল কেল্লায় শোভা পায় না।”