‘হিংসা সমস্যার সমাধান নয়’, আন্দোলনকারীদের স্মরণ করালেন রাহুল
প্রতিবাদী ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে লাল কেল্লা চত্বরে পৌঁছে চূড়ায় উঠে নিজেদের আন্দোলনের পতাকা লাগিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। যা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছে রাজনৈতিক মহল।
নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনকে (Farmer Protest) আগাগোড়াই সমর্থন জানিয়ে এসেছে কংগ্রেস। তবে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কৃষকদের ট্রাক্টর র্যালিকে (Tractor Rally) কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের আকার নেয় রাজধানী। আন্দোলনকারীরা লাল কেল্লায় ঢুকে তার চূড়ায় উঠে পড়েন। লাগিয়ে দেন আন্দোলনের পতাকা। এমনকি, রাজধানীর কয়েক জায়গার পুলিসের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয় ব্যাপকভাবে। যা নিয়ে এবার নিন্দায় সরব হয়েছেন কংগ্রেসের (Congress) শীর্ষ নেতারাও।
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) মঙ্গলবার দুপুরে টুইট করেন এই নিয়ে। তিনি লেখেন, “হিংসা কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আহত যেই হন না কেন, লোকসান আমাদেরই দেশের।” এরপরই কেন্দ্রের উদ্দেশে আবেদনের সুরে তিনি লেখেন, “দেশের স্বার্থে কৃষক-বিরোধী এই আইন প্রত্যাহার করুন।”
हिंसा किसी समस्या का हल नहीं है। चोट किसी को भी लगे, नुक़सान हमारे देश का ही होगा।
देशहित के लिए कृषि-विरोधी क़ानून वापस लो!
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) January 26, 2021
আন্দোলের স্বরূপ দেখে নিন্দায় সরব হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরও। তিনি লিখেছেন, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমি প্রথম থেকেই কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করে এসেছি। তা বলে আমি অনাচারকে প্রশ্রয় দিতে পারি না। প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো দিনে পবিত্র জাতীয় পতাকা ছাড়া আর কোনও পতাকা লাল কেল্লায় শোভা পায় না।” লোকসভার কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী কেন্দ্রের দিকেই আঙুল তুলেছেন। অধীরের কথায়, “কৃষক আন্দোলনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। কেন্দ্রের বাড়বাড়ন্তেই এই কাজ হয়েছে।”
Most unfortunate. I have supported the farmers’ protests from the start but I cannot condone lawlessness. And on #RepublicDay no flag but the sacred tiranga should fly aloft the Red Fort. https://t.co/C7CjrVeDw7
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) January 26, 2021
আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্রাক্টর র্যালিতে কৃষক মৃত্যু, উত্তাল রাজধানী
প্রতিবাদী ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে লাল কেল্লা চত্বরে পৌঁছে চূড়ায় উঠে নিজেদের আন্দোলনের পতাকা লাগিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। যা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছে রাজনৈতিক মহল। এমনকি, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে দিল্লি ও এনসিআর-র একাংশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জামা মসজিদ, দিলশাদ গার্ডেন, ঝিলমিল ও মান সরোভর পার্ক মেট্রোর গেট।
আরও পড়ুন: লাল কেল্লার চূড়ায় আন্দোলনের পতাকা লাগানোর চেষ্টা কৃষকদের, ব্যাপক বিশৃঙ্খলা রাজধানীতে