‘অনাচারকে প্রশ্রয় নয়’, আন্দোলনের চেহারা দেখে নিন্দায় সরব কংগ্রেস সাংসদ

দিল্লি ও এনসিআর-র একাংশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জামা মসজিদ, দিলশাদ গার্ডেন, ঝিলমিল ও মান সরোভর পার্ক মেট্রোর গেট।

'অনাচারকে প্রশ্রয় নয়', আন্দোলনের চেহারা দেখে নিন্দায় সরব কংগ্রেস সাংসদ
ছবি- টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Jan 26, 2021 | 4:39 PM

নয়া দিল্লি: বিগত দু মাসের বেশি সময় ধরে চলা কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest) বড় বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন। পূর্ব পরিকল্পিত ট্রাক্টর র‍্যালি এ দিন দিল্লি সীমান্ত থেকে শুরু হতেই তা একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছিল প্রশাসনের সঙ্গে। তবে পুলিসি বাধা পেরিয়ে ট্রাক্টর মিছিল রাজধানীতে ঢুকতেই বিক্ষোভ ক্রমশ আগ্রাসী হতে থাকে। লাল কেল্লায় পৌঁছনোর পর তা আরও বড় আকার নেয়।

একটা পর্যায়ে লাল কেল্লার চূড়ায় উঠে নিজেদের আন্দোলনের পতাকা লাগিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। যা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছে রাজনৈতিক মহল। এমনকি, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে দিল্লি ও এনসিআর-র একাংশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জামা মসজিদ, দিলশাদ গার্ডেন, ঝিলমিল ও মান সরোভর পার্ক মেট্রোর গেট।

কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor) আন্দোলনের এই স্বরূপ দেখে নিন্দায় মুখর হয়েছেন। টুইট করে তিনি লেখেন, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমি প্রথম থেকেই কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করে এসেছি। তা বলে আমি অনাচারকে প্রশ্রয় দিতে পারি না। প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো দিনে পবিত্র জাতীয় পতাকা ছাড়া আর কোনও পতাকা লাল কেল্লায় শোভা পায় না।” যদিও লোকসভার কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী কেন্দ্রের দিকেই আঙুল তুলেছেন। অধীরের কথায়, “কৃষক আন্দোলনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। কেন্দ্রের বাড়বাড়ন্তেই এই কাজ হয়েছে।”

বিক্ষোভকারী কৃষক সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা অবশ্য গোটা ঘটনা নিয়ে সাফাই দিয়ে জানিয়েছে, মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি এই আন্দোলনকে কলুষিত করার চেষ্টা চালিয়েছে। সংগঠনের দাবি, “আমাদের হাজারো চেষ্টা সত্ত্বেও কয়েকজন বহিরাগত বদনাম করার চেষ্টা চালিয়েছে।” একই সঙ্গে অপ্রীতিকর যা কিছু ঘটেছে, তারও নিন্দা করেছেন আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্রাক্টর র‍্যালিতে কৃষক মৃত্যু, উত্তাল রাজধানী