বেঙ্গালুরু : হিজাব বিতর্ক (Karnataka Hijab Controversy) নিয়ে উত্তাল কর্নাটক। কর্নাটক হিজাব বিতর্ক নিয়ে রাজনৈতিক আক্রমণও বেগ পেয়েছিল। এর মধ্যে হিজাব নিয়ে প্রথম মন্তব্য় করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। হিজাব বিতর্ক নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার বলেছেন যে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন যে একটি স্কুলের পোশাক কোড সমস্ত ধর্মের লোকদের অনুসরণ করা উচিত। যদিও তিনি স্বীকার করেছেন যে এই বিষয়ে রায় এখনও আদালতে ঘোষণা করা হয়নি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে, শাহ আরও জানিয়েছেন যে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে দেশটি সংবিধানের ভিত্তিতে চলবে নাকি ইচ্ছার ভিত্তিতে। নেটওয়ার্ক ১৮ কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শাহ বলেছিলেন, “এটা আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস যে, সব ধর্মের লোকেদের স্কুলের ড্রেস কোড মেনে নেওয়া উচিত। এবং বিষয়টি এখন আদালতে রয়েছে এবং আদালত এই বিষয়ে তার শুনানি পরিচালনা করছে। এটি যা সিদ্ধান্ত নেবে তা সকলের অনুসরণ করা উচিত।”
প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বরে হিজাব বিতর্ক দানা বাধে। ২৮ ডিসেম্বর কর্নাটকের উদুপির একটি সরকারি পিইউ কলেজে কয়েকজন ছাত্রীকে হিজাব পরে শিক্ষা প্রাঙ্গণে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তারপর উদুপির পরপর চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই নির্দেশিকা জারি করে কর্তৃপক্ষ। এরপর জানুয়ারি মাসের শেষে ফের একটি কলেজে হিজাব পরে কয়েকজন ছাত্রীকে ঢুকতে না দেওয়ায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরে আসার প্রতিবাদে একদল শিক্ষার্থী গলায় গেরুয়া চাদর দিয়েও আসেন। এরপর হিজাব বিতর্ক নিয়ে উত্তাল হয় কর্নাটক। আদালতে পিটিশন জমা দেয় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের একজন। অশান্তি এড়াতে কয়েকদিনের জন্য কর্নাটকের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন মুখ্য়মন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। এবং সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয় যে শিক্ষার্থীদের স্কুল বা কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে। কর্নাটক আদালতের তরফে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে জানানো হয়েছে, কোনও অন্তিম রায় দেওয়া না অবধি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনওরকম ধর্মীয় পোশাক পরে যেতে পারবেন না।
আরও পড়ুন : UP Assembly Election 2022 : ‘সাইকেলকে অপমান মানে সমগ্র জাতির অপমান’, মোদী পাল্টা তোপ অখিলেশের