
নয়াদিল্লি: বাংলায় ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের কাজ ‘স্থগিত করতে’ কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাতেই ‘ক্ষেপেছেন’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নাম না করেই মমতার দিকেই আক্রমণ শানালেন শাহ। অনুপ্রবেশকারীদের ‘সুরক্ষা প্রদান’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
শুক্রবার স্বরাষ্ট্র দফতরের সমাজমাধ্য়মে একটি পোস্ট করা হয়েছে। পোস্টের বার্তা যে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া, তা সেখানে উল্লেখিত রয়েছে। এদিন শাহ জানিয়েছেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার খাতিরেই যে শুধু অনুপ্রবেশ রুখতে হবে এমনটা নয়। গণতান্ত্রিক স্বার্থের কথা মাথায় রেখেও এই অনুপ্রবেশ বন্ধ করা প্রয়োজন।’ কিন্তু কেউ কেউ তাতে রাজি নয় বলেই অভিযোগ শাহের। অনুপ্রবেশকারীদের তাঁরা ‘সুরক্ষা প্রদান’ করছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, বেশ কিছু রাজনৈতিক দল অনুপ্রবেশকারীদের নিরাপত্তা প্রদানে উদ্য়ত্ত হয়েছে। তাঁরা কমিশনেরও বিরোধী। ভারতের নির্বাচন কমিশন যে ভোটার তালিকা শুদ্ধিকরণের কাজ চালাচ্ছে, তা তাঁরা চায় না।’ কিন্তু কাকে এমন আক্রমণ? রাজনৈতিক মহল বলছে, নাম না করেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন এই অভিযোগ?
भारत में घुसपैठ को रोकना न केवल देश की सुरक्षा के लिए जरूरी है, बल्कि देश की लोकतांत्रिक व्यवस्था को प्रदूषित होने से बचाने के लिए भी घुसपैठ को रोकना जरूरी है।
मगर दुर्भाग्य की बात है, कुछ राजनीतिक दल इन घुसपैठियों को बचाने के लिए यात्रा लेकर निकले हैं, और चुनाव आयोग द्वारा…
— Office of Amit Shah (@AmitShahOffice) November 21, 2025
সম্প্রতি কমিশনকে একটি চিঠি লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অবিলম্বে এসআইআর স্থগিত করে বিএলও-দের প্রশিক্ষণের দাবি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, ‘পরিকল্পনাহীন’ ভাবে কর্তব্যরত আধিকারিক ও জনসাধারণের উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে বলে কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সেই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘চলমান এসআইআর প্রক্রিয়া বন্ধ করা হোক। বিএলও-দের উপর তৈরি ক্রমবর্ধমান চাপ ও জবরদস্তি করা বন্ধ হোক। তাঁদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা দিন।’
সাম্প্রতিক অতীতে জলপাইগুড়ির মাল এলাকার বিএলও-র আত্মহত্যা কিংবা মেমারিতে এক বিএলও-র মৃত্যু। প্রতি ঘটনা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে কমিশনের দিকে। স্মরণ করিয়েছে, কাজের চাপও প্রাণ নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। শুধু তা-ই নয়, প্রথম থেকেই অত্যাধিক চাপের অভিযোগ তুলেছিলেন বাংলার বিএলও-রা। এই আবহে মমতার চিঠি ও পাল্টা শাহের বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন একাংশ। তবে শাহের এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল শিবির। এদিন তৃণমূল রাজ্য় সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘এসআইআর করুক না, অসুবিধা নেই তো। কিন্তু দু’বছর ধরে করতে হবে। উনি কেন কমিশনের হয়ে বলছেন, দেড় মাস ধরে হবে। উনি কেন কমিশনের কাজে নাক গলাচ্ছেন?’