নয়া দিল্লি : দেশের কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়ক করোনায় প্রাণ হারালে, তাঁদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার আওতায় এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। যদি কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বা কোনও সহায়ক ২০২০ সালের ১১ মার্চের পরে করোনায় মারা গিয়ে থাকেন, তাঁদের পরিবারকেও ক্ষতিপূরণ দেবে মোদী সরকার। দিল্লির এক শীর্ষ আধিকারিক এমনটাই জানিয়েছেন। শীঘ্রই কেন্দ্রের থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রের থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবার দেশের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়কদেরও করোনা বিমার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই বিমার আওতায় যদি কেউ করোনার প্রাণ হারান, কিংবা করোনা সংক্রান্ত দায়িত্বে থাকাকালীন দুর্ঘটনায় মারা যান, তাঁদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার।
মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়ক, যাঁরা করোনা সংক্রান্ত সচেতনতা কর্মসূচি, করোনা সংক্রমণের উপর নজরদারি সঙ্গে জড়িত এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন বিতরণের মতো কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদেরও এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, “যাঁরা (অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়করা) ২০২০ সালের ১১ মার্চের পর করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন, অর্থাৎ পুরো করোনা সময়কালের জন্য তাঁদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার আওতায় ৫০ লাখ টাকার বিমার আওতায় আনা হয়েছে।”
করোনায় প্রাণ হারানো ছাড়াও যদি কেউ করোনা সংক্রান্ত কাজে যুক্ত থাকাকালীন দুর্ঘটনায় মারা যান, তাঁদেরও এই বিমার আওতায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবেন। দেশে প্রায় ১৩ লাখ ২৯ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী রয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি সহায়কের সংখ্য়া রয়েছে প্রায় ১১ লাখ ৭৯ হাজার জন।
জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে অঙ্গনওয়াড়ি এবং এএনএম কর্মীরা করোনা সংক্রান্ত কাজে যুক্ত ছিলেন, কিংবা এই সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, “এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার সেই কাজ শেষ করা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের কর্তব্য। আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, এই প্যাকেজের আওতায়, প্রতিটি রাজ্যকে সুবিধা দেওয়া হবে।
এর আগে, কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী সহ জন স্বাস্থ্যের সঙ্গে যাঁরা সরাসরি যুক্ত ছিলেন এবং যাঁরা করোনায় আক্রান্ত রোগীদের দেখভালের দায়িত্বে থাকতেন, তাঁদের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকির কথা ভেবে, এই প্যাকেজের আওতায় তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : Gujarat Local Body Polls: অটুট মোদী গড়, কংগ্রেসকে দুরমুশ করে তিনটে পৌরসভায় গেরুয়া ঝড়’
আরও পড়ুন : Kolkata Cyber Crime: করোনা মহামারীতে পাঁচগুন বেড়েছে সাইবার অপরাধ, চিন্তায় কলকাতা পুলিশ