Himachal Viral Video: বাড়ি যেন তাসের ঘর, ৪৮ ঘণ্টায় মৃত ৬০, হিমাচলে চলছে প্রলয়

Himachal Viral Video: রাজধানী সিমলার সামার হিল, কৃষ্ণ নগর এবং ফাগলি এলাকায় ধসের কারণে প্রায় কুড়ি জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিমলার একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত কৃষ্ণ নগর এলাকায় ধসের কারণে প্রায় আটটি বাড়ি ভেঙে পড়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল দুই জনের। এদিন সকালে সামার হিলে আরও বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেসে গিয়েছে।

Himachal Viral Video: বাড়ি যেন তাসের ঘর, ৪৮ ঘণ্টায় মৃত ৬০, হিমাচলে চলছে প্রলয়
প্রলয় নেমে এসেছে হিমাচল প্রদেশেImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2023 | 2:05 PM

সিমলা: যেন প্রলয় নেমে এসেছে হিমাচলে। একের পর এক মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, ধস এবং পড়পা বানের জেরে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য জুড়ে। গত ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি সম্পর্কিত বিভিন্ন কারণে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। রবিবার সকাল থেকে একটানা ভারী ষ্টডি হয়ে চলেছে এই পাহাড়ি রাজ্যে। রাজধানী সিমলার সামার হিল, কৃষ্ণ নগর এবং ফাগলি এলাকায় ধসের কারণে প্রায় কুড়ি জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিমলার একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত কৃষ্ণ নগর এলাকায় ধসের কারণে প্রায় আটটি বাড়ি ভেঙে পড়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল দুই জনের। এদিন সকালে সামার হিলে আরও বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেসে গিয়েছে। এই ঘটনাতেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সামার হিল এবং কৃষ্ণ নগর এলাকায় সেনা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির সদস্যরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত সামার হিল থেকে ১৩টি, ফাগলি থেকে পাঁচটি এবং কৃষ্ণনগর থেকে দুটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার যে শিব মন্দিরটি ভেঙে পড়েছিল, তার তলায় এখনও অন্তত দশটি মৃতদেহ চাপা পড়ে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কৃষ্ণ নগর এলাকার প্রায় ১৫টি বাড়ি ধসে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। সেগুলি খালি করে পরিবারগুলিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অবিরাম বৃষ্টির কারণে ধসের ভয়ে আরও বেশ কয়েকজন নিজ নিজ বাড়ি ছেড়ে নীচে নেমে গিয়েছেন।

ইন্দোরা এবং কাংড়ার মতো রাজ্যের নীচু এলাকাগুলিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখি জানিয়েছেন, ওই এলাকাগুলি থেকে ৮০০-রও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমি কাংড়ায় যাচ্ছি। সেখান থেকে ৬৫০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রায় ১০০ জন এখনও আটকে আছেন, উদ্ধার অভিযান চলছে। সিমলায় আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্যের প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যের পরিকাঠামো ফের নতুন করে গড়তে আমাদের প্রায় ১ বছর সময় লাগবে। ”

ভারী বৃষ্টি এবং বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে বুধবার রাজ্যের সমস্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা বিভাগ। ১৯ অগস্ট পর্যন্ত পঠনপাঠন স্থগিত রেখেছে হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ও। রাজ্যের প্রায় ৮০০ রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে ধসের জেরে। এর আগে, জুলাই মাসের শুরুতেও মান্ডি, কুলু এবং সিমলা-সহ হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বেশ কয়েকজনের প্রাণ গিয়েছিল এবং কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছিল। রবিবার থেকে ফের বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এই পাহাড়ি রাজ্য। শুধু তাই নয়, এখনই বৃষ্টি পরিস্থিতির কোনও উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। রাজ্যে ক্ষমতায় আছে কংগ্রেস। এই বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছে সরকার। হিমাচল সরকার চাইছে, হিমাচল প্রদেশকে দুর্যোগ-বিধ্বস্ত রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।