শ্রীনগর: সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল জম্মু-কাশ্মীর। একের পর এক জঙ্গি নাশকতা কেড়ে নিয়েছিল নিরীহ মানুষের প্রাণ। সবথেকে অবাক করার মত বিষয় ছিল, সেনাবাহিনী ও পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে নিরীহ সাধারণ মানুষদের নিশানা করছিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ভারতীয় সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় কাশ্মীর পরিস্থিতি এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে হলেও আশঙ্কা সব সময় থাকে। এবার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করার বার্তা দিলেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি দিলবাগ সিং।
কী বললেন কাশ্মীরের ডিজিপি?
মঙ্গলবার, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা একটি ধারবাহিক প্রক্রিয়া। সিং বলেন, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে দক্ষিণ কাশ্মীরে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে সাফল্য এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে আরও তীব্রতার সঙ্গে জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালানো হবে। সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপ রোধে বেশ কিছু অত্যাধুনিক গাড়ির উদ্বোধন করে ডিজিপি দিলবাগ সিং। জম্ম কাশ্মীর পুলিশ বাহিনীতে এই গাড়ি গুলি অন্তর্ভুক্তির ফলে পুলিশের শক্তি আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে গাড়ি গুলির?
জঙ্গি দমনে অন্তর্ভুক্ত নতুন গাড়িগুলির বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কথাও এদিন তুলে ধরেন দিলবাগ সিং। সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িগুলিতে ১৪ টি সিসিটিভি ক্যামেরা, পিটিজ়েড ক্যামেরা, ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ ক্যামেরার পাশাপাশি পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম, ফ্ল্যাশলাইট ও অত্যাধুনিক মেডিকাল কিটের পাশাপাশি অত্যাধুনিক নিরাপত্তার বন্দোবস্ত থাকবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি জানিয়েছেন, এই নতুন গাড়িগুলিতে বিভিন্ন অত্যাধুনিক ফিচার, অতিরিক্ত সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য এবং নজরদারি ব্যবস্থা সহ আধুনিক বিভিন্ন গ্যাজেট রয়েছে। তিনি বলেন, “নজরদারি ব্যবস্থার সাহায্যে, আমরা যে কোনও পরিস্থিতিতে যানবাহনের চারপাশে একটি বিশাল এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হব।” নাগরোটা এনকাউন্টারের উদাহরণ তুলে ধরে ডিজিপি বলেন, সেখানে এই অত্যাধুনিক গাড়ি ব্যবহার করে সাফল্য মিলেছে এবং সহজেই জঙ্গিদের নিকেশ করা গিয়েছে।
বাহিনীর সাফল্য
সম্প্রতি, কাশ্মীরের অনন্তনাগে, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অফ জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীরের এক জঙ্গিকে নিকেশ করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, অনন্তনাগের শ্রীগুফয়ারাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছিল ওই আইসিস জঙ্গি। কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল জানিয়েছিলেন, নিহত জঙ্গি বিজবেহারা থানায় এএসআই মহম্মদ আশরাফকে হত্যা করার পিছনে জড়িত ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল নিহত জঙ্গির নাম ফাহিম ভাট। ওই জঙ্গি কাশ্মীরের কাদিপরা এলাকার বাসিন্দা।