নয়া দিল্লি: ২০২১ সালের অন্যতম ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা হিসাবে মনে থাকবে প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াত(Bipin Rawat)-র হেলিকপ্টার (Army Chopper Crash) ভেঙে পড়ার ঘটনা। গত ৮ ডিসেম্বরই তামিলনাড়(Tamil Nadu)-র সুলুর থেকে ওয়েলিংটনে যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ে সামরিক হেলিকপ্টার। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াত সহ ১৩ জনের। দুর্ঘটনায় একমাত্র রক্ষা পেয়েছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং (Varun Singh), কিন্তু এক সপ্তাহ পরে তাঁরও মৃত্যু হয়। কীভাবে ঘটেছিল ওই দুর্ঘটনা, তার তদন্ত করছে বায়ুসেনা(Indian Air Force)।
সেনা বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকেই তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়বে। সামরিক কপ্টার ভেঙে পড়া ও বিপিন রাওয়াত সহ সকল যাত্রীর মৃত্যুর তদন্ত প্রায় শেষ হয়েই এসেছে। আর কয়েকদিনের মধ্য়েই তা রিপোর্ট আকারে বায়ুসেনার কাছে জমা দেওয়া হবে।
বায়ুসেনার তরফে সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি পেশ না করা হলেও, সূ্ত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এমআই-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ার কারণ জানা গিয়েছে। প্রথমে যান্ত্রিক ত্রুটি মনে করা হলেও, জানা গিয়েছে “কন্ট্রোলড ফ্লাইট ইনটু টেরিন”(Controlled Flight into Terrain) -র কারণে কপ্টারটি ভেঙে পড়ে। অর্থাৎ হেলিকপ্টারের পাইলট বুঝতে না পেরে কোথাও জোরে ধাক্কা মেরেছিল, তারফলেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে কপ্টারটি।
কন্ট্রোলড ফ্লাইট ইনটু টেরিন বা সিআইএফটির অর্থ হল, দুর্ঘটনার সময়ে হেলিকপ্টারটি আকাশেই ছিল, মূলত ঘন কুয়াশার কারণেই দেখতে অসুবিধা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এই দুর্ঘটনার জন্য পাইলটকেও দায়ী করা চলে না। কুনুরের খারাপ আবহাওয়াকেই মূলত দায়ী করা হচ্ছে দুর্ঘটনার জন্য। দুর্ঘটনার চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপিন রাওয়াতের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে যে ত্রী-স্তরীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। বায়ুসেনার অধীনে তদন্তকারী দল সুলুরের বেসক্যাম্প থেকে শুরু করে কুন্নুরের জঙ্গলে ওই দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেছে। এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিং এই তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এছাড়া সেনাবাহিনীর সাউর্দান কম্যান্ডের ব্রিগেডিয়ার ও নৌবাহিনীর কমোডরও সহায়তা করছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে এই বিষয়ে নিয়মিত আপডেট জানানো হচ্ছে। বায়ুসেনার প্রধানের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি, এমনটাই সূত্রের খবর।