নয়া দিল্লি: মুম্বইয়ের প্রমোদতরীতে মাদকচক্র (Mumbai Drug Case) ও আরিয়ান খানের (Aryan Khan) গ্রেফতারি নিয়ে এবার নিশানায় খোদ এনসিবি কর্তাই। শাহরুখ পুত্রের গ্রেফতারির পর থেকেই এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক (Nawab Malik) এনসিবির বিরুদ্ধে ভুয়ো তদন্তের অভিযোগ এনেছিলেন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। গতকাল থেকেই শোনা যাচ্ছিল, একাধিক বিতর্কের জেরেই তদন্তকারী আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে(Sameer Wankhede)-কে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। সোমবার সন্ধেতেই দিল্লি পৌঁছন তিনি। তবে জল্পনা উড়িয়ে জানান, তাঁকে হাজিরার জন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থা ডাকেনি।
বিমানবন্দরে নামতেই সাংবাদিকরা সমীর ওয়াংখেড়েকে ঘিরে ধরলে তিনি জানান, কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যই তিনি দিল্লি এসেছেন। এনসিবি বা অন্য কোনও সংস্থা তাঁকে তলব করেনি। তিনি নিজের তদন্তেই ১০০ শতাংশ অটল থাকবেন, একথাও সাফ জানিয়ে দেন।
ওয়াংখেড়ের দিল্লি সফর এনসিপি নেতা নবাব মালিকের সঙ্গে বাকযুদ্ধ ও ঘুষের অভিযোগ ওঠার পরই হওয়ায়, এই সফর ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। প্রমোদতরী মাদক মামলার সাক্ষী কে পি গোসাভির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল অভিযোগ করেছেন, টাকার বিনিময়ে তাঁকে মিথ্যা সাক্ষী দিতে চাপ দেন এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে। সম্প্রতিই মুম্বই আদালতে হলফনামা পেশ করে তিনি জানান, আরিয়ান খান মামলায় গোসাভির সঙ্গে স্যাম ডি’সুজা নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে ৩ অক্টোবর ১৮ কোটি টাকার চুক্তি নিয়ে ফোনে কথা বলতে শোনেন। সেখানে শোনা যায়, সমীর ওয়াংখেড়েকে ৮ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
মুম্বই পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখে তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে পারে, এমনকি হত্যাও করা হতে পারে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন প্রভাকর। যদিও এনসিবি কর্তা সমীর যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এনসিবির তরফেও সাফ জানানো হয়েছে, সমীর ওয়াংখেড়ের দুর্দান্ত রিপোর্ট রয়েছে। তিনি এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন না।