
নয়া দিল্লি: পাঁচ বছরের বিরতি। ফের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন জগৎ প্রকাশ নাড্ডা (JP Nadda)। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নাম হঠাৎ মন্ত্রী হিসাবে উঠে আসতেই চমকে গিয়েছিলেন অনেকে। একইসঙ্গে এই জল্পনাও শুরু হয়েছে যে এবার তবে বিজেপির দায়িত্বভার কে নেবেন?
বিজেপি-তে রয়েছে এক কড়া নিয়ম। এক ব্যক্তি, এক পদ। একইসঙ্গে সাংগঠনিক ও মন্ত্রীপদ পেতে পারেন না কেউ। সেই কারণেই জেপি নাড্ডা মন্ত্রী হতেই বিজেপির অন্দরেও রদবদলের জল্পনা শুরু হয়েছে।
এর আগে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন জেপি নাড্ডা। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচিত হলেও মন্ত্রীপদ দেওয়া হয়নি তাঁকে। বরং অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ায়, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। প্রথমে তিনি ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০২০ সাল থেকে সর্বভারতীয় সভাপতির পদ পান। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই তাঁর সভাপতি পদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও, লোকসভা নির্বাচনের কারণেই জুন মাস পর্যন্ত পদের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
সূত্রের খবর, নাড্ডার পরিবর্তে সভাপতি কাকে করা হবে, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দলের শীর্ষ নেতারা এই বিষয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই যে নামগুলি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে উঠে আসছে, তা হল জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ওম প্রকাশ মাথুর, ওবিসি মোর্চার প্রধান কে লক্ষ্মণ।
তবে কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও এই পদ দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে। যেহেতু চলতি বছরেই মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, তাই দলীয় কর্মী ও রাজ্য়বাসীদের মন জিততে বড় চমক দিতে পারে বিজেপি।
অন্যদিকে, আরেকটি সূত্রের দাবি, বিজেপির বড় দুই মুখ অনুরাগ ঠাকুর ও স্মৃতি ইরানি-যারা এবারের মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি, তাদের মধ্য়ে কাউকে সর্বভারতীয় সভাপতি করা হতে পারে।