মুম্বই: বছরের শেষেই বড় ধাক্কা সংক্রমণের। দেশের বড় বড় মেট্রো শহরগুলিতে একলাফে অনেকটাই বেড়েছে করোনা সংক্রমণ (COVID-19)। পিছিয়ে নেই ওমিক্রনও (Omicron)। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টাতেই মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) নতুন করে ১৯৮ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও এক ধাক্কায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩৬৮ জন, যা আগের দিনের তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেশী। জেলা ভিত্তিক সংক্রমণের হারে শীর্ষে রয়েছে বাণিজ্যনগরী মুম্বই (Mumbai)। সেখানে একদিনেই ৩৬৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন, যা পরশুদিনের তুলনায় ৪৬ শতাংশ বেশি।
কেবল করোনা সংক্রমণই নয়, একইসঙ্গে বাড়ছে ওমিক্রনের দাপট। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, একদিনেই রাজ্যে নতুন করে ১৯৮ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে ১৯০ জনই আবার মুম্বইয়ের বাসিন্দা। এই নিয়ে কেবল মুম্বইতেই ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯০-এ।
একাধিক শহর, রাজ্যে ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও মুম্বইয়ের ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ বেড়েছে, কারণ নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ১৪১ জনেরই বিদেশে ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই। বৃহ্নমুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের এই তথ্যেই বেড়েছে উদ্বেগ। শঙ্কা বাড়ছে গোষ্ঠী সংক্রমণেরও।
বিএমসির তথ্য অনুযায়ী, মুম্বইতে নতুন করে ১৫৩ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এদের মধ্যে ১২ জনের ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে, বাকি সকলেই শহরের অন্দরেই ছিলেন। এদিকে, মহারাষ্ট্র সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ নয়, ১৯০ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। দুই পক্ষের তথ্যের ফারাক নিয়ে এখনও কিছু সাফাই দেওয়া হয়নি।
রাজ্যে করোনা ও ওমিক্রন সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায়, বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) রাজ্যের কোভিড টাস্ক ফোর্সের (COVID Task Force) সঙ্গে দেখা করেন এবং বৈঠকে বসেন। কীভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায় ও রাজ্যের হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি কতটা প্রস্তুত, তা খতিয়ে দেখেন মুখ্য়মন্ত্রী। বর্তমানে মুম্বইয়ে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। গোটা রাজ্যেই লকডাউন সম কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে কিনা, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে।
সংক্রমণ বাড়তেই বৃহ্নমুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের তরফে ওয়ার রুম (War Rooms) চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৪টি ওয়ার্ডে সংক্রমণ, হাসপাতালে ভর্তি, ওক্সিজেন সরবরাহ, চিকিৎসা সামগ্রী ও টিকাকরণের যাবতীয় ব্যবস্থা করবে এই ওয়ার রুমগুলি। টেস্ট, ট্রাক, ট্রিট- যে নীতিতে করোনা চিকিৎসা চলছে দেশজুড়ে, তা অনুসরণ করবে ওয়ার রুমগুলি।