গুয়াহাটি: গর্হিত অপরাধের চরম শাস্তি পেলেন ধর্ষক। অসম পুলিশের চালানো গুলিকে মৃত্যু হয়েছে গণধর্ষণ কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত বিকি আলির। অসম পুলিশের এনকাউন্টারে (Assam Police Encounter) মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। পুলিশ সূত্রে খবর পুলিশি হেফাজত থেকে তিনি পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। এই এনকাউন্টারে কয়েকজন পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার গুয়াহাটির আশেপাশেই এই পুলিশি এনকাউন্টারের ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, যে জায়গায় ধর্ষণটি হয়েছিল, পুলিশ অভিযুক্ত বিকি আলিকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণের জন্য সেখানে গিয়েছিল। সেই সময়ই ওই অভিযুক্ত পুলিশকে আক্রমণ করে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ জানিয়েছে, গুলি চালানো ছাড়া কোনও উপায় ছিল। এই ঘটনায় অসম জুড়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এনকাউন্টারে মৃত ২০ বছর বয়সী বিকি আলি যখন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তখন তাঁকে গুলি করা হয়। মৃত অবস্থায় বিকিকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ শর্মা জানিয়েছেন, বিকির দেহে সব মিলিয়ে মোট ৪ টি ক্ষত চিহ্ন ছিল। একটি বুকে ও বাকি তিনটি পিঠে। “বুধবারল রাত ১ টা নাগাদ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের পর গুলির ক্ষত চিহ্নের বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যাবে।” জানিয়েছেন হাসপাতালের সুপার। তিনি আরও বলেন, “পানবাজার মহিলা থানার ইনচার্জ টুইঙ্কেল গোস্বামী এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাঁর হাতে ও পায়ে আঘাত লেগেছিল। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন তিনি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন।”
আলি ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ছিল। ঘটনার এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার বিকি আলিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও অভিযোগে ধর্ষিতার পরিবার জানিয়েছিল, ১৬ ফেব্রুয়ারি ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত দুই অভিযুক্ত ধর্ষণের মুহূর্তের একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করে রেখেছিলেন। নির্যাতিতার পরিবারকে তারা হুমকি দিয়েছিল পুলিশে অভিযোগ জানালে এই সেই ভিডিয়ো অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এরপর ভিডিয়ো মুছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁরা নির্যাতিতাকে একটি হোটেলে ডেকে আরও একবার যৌন নির্যাতন করেন।