India-China Relation: সম্পর্কের বরফ গলাতে হাত বাড়াচ্ছে চিন, চলতি মাসেই ভারত সফরে আসতে পারেন বিদেশমন্ত্রী
India-China Relation: ভারত-চিনের সম্পর্কে বরফ গলানোর প্রথম ধাপে ভারত সফরে আসতে চলেছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। চলতি মাসেই তিনি ভারতে আসতে পারেন। এরপরই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও চিনে যেতে পারেন।
নয়া দিল্লি: ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে (East Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Actual Control) ঘিরে ভারত ও চিনের মধ্যে যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল, দুই বছর পরও সেই বিরোধ এখনও মেটেনি। তবে বিরোধ মেটাতে এবার এগিয়ে এল চিন(China)-ই। ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরুর প্রস্তাব দেওয়া হল বেজিংয়ের তরফেই। প্রথম ধাপ হিসাবে চলতি মাসেই ভারত সফরে আসতে পারেন চিনের স্টেট কাউন্সিলর তথা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Wang Yi)। পরবর্তী ধাপে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর(S Jaishankar)-ও চিনে যেতে পারেন। এমনটাই সূত্রের খবর। চিনের তরফে তাদের পলিটব্যুরোর সদস্যদের ভারত সফরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করার জন্যই হাত বাড়িয়েছে চিন। চলছি বছরেই চিনে ব্রিকসের যে সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে, তার জন্য একটা মঞ্চ তৈরির জন্যও ভারত সফরে আসতে চলেছেন বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। চিনের তরফে আলোচনা শুরুর জন্য একাধিক স্তরে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দুই দেশের তরফেই বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনা ও সফরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ভারত-চিনের সম্পর্কে বরফ গলানোর প্রথম ধাপে ভারত সফরে আসতে চলেছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। চলতি মাসেই তিনি ভারতে আসতে পারেন। এরপরই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও চিনে যেতে পারেন। চিনের প্রশাসনিক আধিকারিক ও শীর্ষ পলিটব্যুরোর নেতারাও ভারত সফরে আসতে পারেন। জানা গিয়েছে, চিনের তরফে ‘ভারত-চিন সভ্যতার আলোচনা’র প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। ভারত ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কোঅপারেশন ফোরাম এবং ভারত-চিন ফিল্ম ফোরামের আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তবে সূত্রের খবর, চিনের একমাত্র লক্ষ্য হল ব্রিকসের বৈঠকে যাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যোগ দেন। এই বৈঠকে যোগ দেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চলতি বছরেই রাশিয়া, ভারত ও চিনের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ব্রিকস সম্মেলনের পাশাপাশিই তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করা হতে পারে।
তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে বিরোধ ও সংঘর্ষের সূচনা হয়েছিল, তা মেটাতে দুই দেশের মধ্যে দফায় দফায় কূটনৈতিক ও সেনাস্তরীয় বৈঠক করা হয়েছে। দুই বছর কেটে গেলেও সেই বিরোধের সমাধানসূত্র না মেলায়, ব্রিকসের বৈঠকে খোদ প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালেকর নভেম্বর মাসে ব্রিকস সম্মেলনেই মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রী।