China: ভারতের সীমান্তেই যত বাড়াবাড়ি চিনের! বিশ্বের সবথেকে বড় বাঁধ বানিয়ে বড় ক্ষতি ডেকে আনছে বেজিং, চুপ নেই দিল্লিও
China: বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, দিল্লির তরফে বিষয়টির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে পদক্ষেপও করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
নয়া দিল্লি: বিশ্বের সবথেকে বড় বাঁধ তৈরি করছে চিন। গত সপ্তাহেই সেই খবর ঘোষণা করা হয়েছে বেজিং-এর তরফে। মধ্য চিনে রয়েছে বিখ্যাত ‘থ্রি জর্জেস ড্যাম’, যা নাকি পৃথিবীর গতি ০.০৬ সেকেন্ড ধীর করে দিয়েছে বলে দাবি করে NASA। এবারের বাঁধটি হবে তার থেকেও বড়, আর সবথেকে বড় কথা সেই বাঁধ তৈরি হবে তিব্বতে। ভারতের সীমান্তের একেবারে কাছে।
এই বাঁধের জন্য পরিবেশের ওপর বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যে জায়গায় এটি তৈরি করা হচ্ছে তা ভূতাত্ত্বিকভাবেও খুব একটা পোক্ত নয়, বরং বেশ স্পর্শকাতর, ফলে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এই অঞ্চল এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ। তাই এই প্রকল্পের কথা শোনার পরই বেজিং-কে বার্তা দিয়েছে নয়া দিল্লি। ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর তৈরি করা হচ্ছে এই বাঁধ।
চিনের ঘোষণার পরই ভারতের তরফে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে ভারত তাদের দিকটা বুঝে নেবে। একই সঙ্গে এও মনে করিয়ে দিয়েছে যে জলের ব্রহ্মপুত্রের ওপর অধিকার সম্পর্কে যেন স্বচ্ছ থাকে বেজিং।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, দিল্লির তরফে বিষয়টির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে পদক্ষেপও করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। এই প্রজেক্টের ফলে ব্রহ্মপুত্রের স্রোতের ওপর প্রভাব পড়বে, এমনকী ওই এলাকায় প্রবল খরা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। বন্যায় ভেসে যাওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। বিদেশ মন্ত্রক মনে করছে, চিনের এই প্রকল্পে সবথেকে বড় ক্ষতি হতে পারে অসম ও অরুণাচল প্রদেশে।