HMPV Outbreak: বাড়ছে আতঙ্ক, এবার হংকংয়েও ছড়িয়ে পড়ল সংক্রমণ, HMPV নিয়ে কী বলছে চিন?
HPMV Outbreak in China: চিন যতই আশ্বাস দিক, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবিগুলি কিন্তু বলছে অন্য কথাই। দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। প্রচুর রোগীর মৃত্যু হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্রে। ইতিমধ্যেই হংকংয়েও কয়েকজনের এইচএমপিভি-তে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে।
বেজিং: নতুন বছরে নতুন ভাইরাস আতঙ্ক। করোনার পর চিনে ছড়াচ্ছে নতুন এক ভাইরাস। নাম হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি (HMPV)। ঠিক করোনার মতোই এই ভাইরাসও ছড়াচ্ছে। এর উপসর্গও এক। খবরটা ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। চিন কী বলছে এই ভাইরাস নিয়ে?
২০২৫ সাল সবে শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহও কাটেনি, তার আগেই ভাইরাস আতঙ্ক। ৫ বছর আগে, ২০২০ সালে এভাবেই চিন থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল কোভিড-১৯। গোটা বিশ্বকে তার মাশুল দিতে হয়েছিল। লকডাউনে স্তব্ধ হয়েছিল পৃথিবীই। তাই নতুন করে চিনে ভাইরাস আতঙ্ক ছড়াতেই চিন্তায় পড়েছে বাকি দেশও। মনে ভয়, আবার লকডাউন হবে না তো? দ্বিতীয় করোনা কি এইচএমপিভি?
তবে বেজিং এই বিষয় নিয়ে অতটাও উদ্বিগ্ন নয়। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং শুক্রবার বলেন, “শীতকালে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ বাড়েই। সকলকে আশ্বাস দিয়ে বলা হচ্ছে, চিনের প্রশাসন নাগরিক ও পর্যটকদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন। চিনে ভ্রমণ করা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।”
চিন যতই আশ্বাস দিক, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবিগুলি কিন্তু বলছে অন্য কথাই। দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। প্রচুর রোগীর মৃত্যু হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্রে। ইতিমধ্যেই হংকংয়েও কয়েকজনের এইচএমপিভি-তে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে।
চিন থেকে যখন করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল, যে দেশগুলি সবথেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল ভারত। তাই এইচএমপিভি ছড়িয়ে পড়ার খবর মিলতেই ভারতেও উদ্বেগ ছড়িয়েছে। তবে ডিরেক্টর জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসের আধিকারিক ডঃ অতুল গোয়েল আপাতত চিনের এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হতেই বলেছেন। তিনি বলেন, “চিনে মেটানিউমোভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর মিলছে। একটা বিষয় স্পষ্টভাবে বুঝুন, আর পাঁচটা রেসপিরেটরি ভাইরাসের মতোই মেটানিউমোভাইরাস। এর উপসর্গ ঠান্ডা লাগার মতোই। শিশু ও প্রবীণদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশে এই ধরনের (রেসপিরেটরি আউটব্রেক) তথ্য় খতিয়ে দেখেছি। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এমন সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর মেলেনি কোথাও।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই বিষয়ে এখনও কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি।