Sonia Gandhi Talks to Ghulam Nabi Azad: বিক্ষুব্ধদের বৈঠকে চাপ বাড়ছে কংগ্রেসে, মন গলাতে আজ়াদের সঙ্গে কথা সনিয়ার
Congress G-23 Meeting: বুধবারই বৈঠকে বসেছিলেন বিক্ষুব্ধ নেতারা। সেখানে তারা শীর্ষ নেতৃত্বদের নিয়ে প্রশ্ন না তুললেও, দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যৌথভাবে নেতৃত্ব দেওয়া ও সবাইকে নিয়ে চলার বার্তাই দেওয়া হয়েছে।
নয়া দিল্লি: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই চাপে রয়েছেন কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্ব। দলের অন্দরে একদিকে যেমন বিরোধ বাড়ছে, তেমনই আবার ফের সুর চড়াতে শুরু করেছেন বিক্ষুব্ধ জি-২৩ নেতারাও (G-23 Leaders)। এবার পরিস্থিতি সামলাতে ময়দানে নামলেন দলনেত্রী সনিয়া গান্ধী। দলীয় সূত্রে খবর, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা বিক্ষুব্ধ জি-২৩ নেতাদের অন্যতম মুখ গুলাম নবি আজ়াদ(Ghulam Nabi Azad)-র সঙ্গে সঙ্গে কথা বলেছেন সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। অন্যদিকে, বুধবারই বৈঠকে বসেছিলেন বিক্ষুব্ধ নেতারা। সেখানে তারা শীর্ষ নেতৃত্বদের নিয়ে প্রশ্ন না তুললেও, দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যৌথভাবে নেতৃত্ব দেওয়া ও সবাইকে নিয়ে চলার বার্তাই দেওয়া হয়েছে।
গতকালই জি-২৩ নেতারা বৈঠকে বসেন গুলাম নবি আজ়াদের বাড়িতে। বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন কপিল সিবাল, মণীশ তিওয়ারি, আনন্দ শর্মা, পৃথ্বীরাজ চাভন। এছাড়াও শশী থারুর, ভূপিন্দর সিং হুডা, রাজ বব্বর, অমরিন্দর সিংয়ের স্ত্রী প্রীণীত কৌর, শঙ্কর সিং ভাগেলা ও মণিশঙ্কর আইয়ারের মতো নতুন মুখদেরও দেখা যায়। এদের মধ্যে শঙ্কর সিং ভাগেলা আগে কংগ্রেসে থাকলেও, ২০১৯ সালে তিনি এনসিপিতে যোগ দেন। যদিও এক বছরের মধ্যেই তিনি এনসিপি ছেড়ে দেন। সূত্রের খবর, তিনি এখন ফের একবার কংগ্রেসে আসতে চান।
বিক্ষুব্ধ জি ২৩-র বৈঠকের পরে বিবৃতি পেশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, “আমরা বিশ্বাস করি, কংগ্রেসের এগিয়ে যাওয়ার জন্য সম্মিলিত নেতৃত্বের প্রয়োজন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বস্তরের মতামত গ্রহণ। বিজেপির বিরোধিতা করতে কংগ্রেসের শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। আমরা দাবি করছি কংগ্রেস যেন সমমনোভাবাপন্ন রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করে এমন একটি মঞ্চ তৈরি করে, যা ২০২৪ সালে বিজেপির বিরুদ্ধে একটি বিশ্বাসযোগ্য় বিকল্প উঠে আসতে পারে।”
সূত্রের খবর, জি-২৩ নেতাদের বৈঠকে গান্ধী পরিবার বা তাদের নেতৃত্ব নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা না হলেও, দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে গান্ধীদের ঘনিষ্ঠ নেতাদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। রবিবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই শীর্ষ নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ফের একবার উঠে এসেছে। বিক্ষুব্ধদের দাবি, গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠরা দলের জন্য কিছুই করেননি, তবুও শীর্ষ পদে রয়েছেন। গান্ধী পরিবারকে আড়াল করে তাঁরা রাজ্যস্তরের নেতাদের উপরই দোষ চাপিয়েছেন।
তবে দল ভেঙে বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে কোনও কথা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বিক্ষুব্ধরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন যে দলের অবস্থা এখন অত্যন্ত দুর্বল। এই অবস্থায় দলের ভাঙন হলে, তা টিকতে পারবে না।