Lawrence Bishnoi: আমেরিকাতে আটক লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই অনমোল বিষ্ণোই!
গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই অনমোল বিষ্ণোইকে ক্যালিফোর্নিয়ায় আটক করল মার্কিন আধিকারিকরা। যদিও এই গ্রেফতারি সম্পর্কে কোনও খবর আনুষ্ঠানিকভাবে নেই বলেই জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।
গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই অনমোল বিষ্ণোইকে ক্যালিফোর্নিয়ায় আটক করল মার্কিন আধিকারিকরা। যদিও এই গ্রেফতারি সম্পর্কে কোনও খবর আনুষ্ঠানিকভাবে নেই বলেই জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা আমাদের সূত্র থেকে জানতে পেরেছি যে অনমোল বিষ্ণোই, যিনি আমেরিকা থেকে গোল্ডি ব্রারের সঙ্গে গ্যাং-এর কাজ পরিচালনা করছিলেন প্রায় চার থেকে পাঁচ দিন আগে ক্যালিফোর্নিয়ায় আটক করা হয়েছে। আমরা অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।”
গত মাসের শেষের দিকে কানাডায় আরশদীপ সিং গিল ওরফে আরশ ডাল্লার আটকের পর এটি ওয়ান্টেড গ্যাংস্টারদের দ্বিতীয় বড় আটক।
কোন পরিস্থিতিতে অনমোল বিষ্ণোই ধরা পড়েছিল তা জানার চেষ্টা করছে ভারত। অনমোলকে শেষবারের মতো ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেসনো শহরে দেখা গিয়েছিল। তাকে ফ্রেসনোতেই আটক করা হয়েছে কিনা তাও সঠিক ভাবে জানা যায়নি।
আমেরিকার সঙ্গে বিষ্ণোইয়ের অবস্থান নিয়েও মুম্বই পুলিশ যোগাযোগ রাখছে বলেও জানা গিয়েছে। ১৪ এপ্রিল অভিনেতা সলমান খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর এবং ১২ অক্টোবর এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকের হত্যার সঙ্গে অনমোল জড়িত কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশ। মুম্বই পুলিশ অনমোল বিষ্ণোইকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করতে চলেছে আমেরিকার কাছে বলে খবর সূত্রে।
জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) তার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় অনমোল বিষ্ণোইকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সমাজমাধ্যমে নিজেই সলমান খানের বাড়ির সামনে গুলি চলার ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল এর আগে। তারপর মুম্বই পুলিশ লুক আউট নোটিস জারি করে। এন্সিপি নেতা খুনেরচ ঘটনার তদন্তে জানা গিয়েছে যে বাবা সিদ্দিকের হত্যাকাণ্ডের বন্দুকধারীরাও স্ন্যাপচ্যাটের মাধ্যমে অনমোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অগস্ট মাস থেকেই সবরমতি জেলে বন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। আর আমেরিকা থেকে তার ভাই অনমোল বিষ্ণোই এবং গোল্ডি ব্রার, লরেন্সের গ্যাং-এর কাজকর্ম সামালাতো বলে খবর সূত্রে। গায়ক, শিল্পপতি, রাজনৈতিক নেতা থেকে খেলোয়াড় সবাইকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করাই ছিল এই গ্যাঙ্গ-এর মূল কাজ। এমনকি টাকা না দিলে তাঁদের য় দেখানো থেকে প্রাণে পর্যন্ত মেরে ফেলে এই দুধর্ষ গ্যাং।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্তা একটি ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন এঁদের গ্যাং রাজ্য থেকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল সর্বত্র ছড়ানো রয়েছে। মূলত পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, রাজস্থান, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের এই গ্যাং -এর সিন্ডিকেট বিস্তৃত। গ্যাং সদস্যদের টাকা দেওয়া, অস্ত্র সরবরাহ করা থেকে ভয় দেখানো সবই বিদেশ থেকে পরিচালিত করত, অনমোল ও গোল্ডি ব্রার।
লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল (বিকেআই) সহ খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
এনআইএ এই পুরো নেটওয়ার্ককে নতুন আন্ডারওয়ার্ল্ড নেট ওয়ার্ক বলে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে গ্যাংস্টারদের কার্যকলাপে দাখিল করা একটি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। ১৯৯৩ সালে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে শিল্পী বা খেলোয়াড় এবং ধনী ব্যক্তিদের যোগাযোগের বিষইয়টি সামনে এসেছিল।