ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে দুধের শিশুকে বেচে দিলেন মা
Mother And Child: এ বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার গাউতেং পুলিশের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন টিনটসওয়ালো বলেন, "১৯ অক্টোবর ওই মহিলার বিরুদ্ধে শিশু পাচারের একটি মামলা দায়ের করা হয়। এবং একই দিনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২১ অক্টোবর তাকে গা-রানকুয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।"
‘অর্থমনর্থং ভাবয় নিত্যং নাস্তি ততঃ সুখ লেশঃ সত্যম্।’ অর্থাৎ অর্থই সমস্ত অনর্থের কারণ এবং প্রকৃতই তাতে সুখের লেশমাত্র নেই। সংস্কৃতের এই বিখ্যাত শ্লোক ভারতীয় উপমহাদেশে বহু আগেই অর্থের ধ্বংসাত্মক দিক ব্যাখ্যা করে গিয়েছে কয়েকটি মাত্র শব্দবন্ধের মাধ্যমে। কিন্তু অর্থের প্রভাবে এহেন অনর্থের শিকড় এই উপমহাদেশ ছাড়াও ছড়িয়ে রয়েছে বিদেশভূমিতেও। কারণ সম্প্রতি অর্থের চাহিদায় সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায় রীতিমত ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে শিশু বিক্রির চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। তবে ঘটনা ‘চাঞ্চল্যকর’ হওয়ার কারণ শিশু বিক্রির সেলসম্যান আর কেউ নয়, বরং একরত্তি ওই শিশুটির মা নিজেই!
দক্ষিণ আফ্রিকার এমন এক মহিলা গ্রেফতার হয়েছেন যিনি টাকার জন্য বিক্রি করে দিয়েছেন নিজের সন্তানকেই। যে শিশুটির বয়স মাত্র ৮ মাস! ঘটনাটি ঠিক কীরকম? জানা গিয়েছে, অক্টোবর মাসে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে শিশুটি বিক্রি হয়। প্রথমে ইচ্ছুক ক্রেতার সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে মোবাইল নম্বরের আদানপ্রদান হয়। তারপর ‘সেলসম্যান’ মা নিজের সন্তানকে বিক্রির ‘ডিল’ করতে ওই ইচ্ছুক ক্রেতার সঙ্গে দেখা করেন সাউথ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ার চেয়ে খানিক দূরের একটি জায়গায়। সেখানেই ‘পণ্য’ হিসাবে বিক্রি করা হয় বাচ্চাটিকে। প্রতিশ্রুতি মতো মেলে মোটা অঙ্কের টাকা। তারপর একটি ট্যাক্সি ধরে শিশুটির মা ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান।
যদিও ওই মহিলার দাবি, খানিক বাধ্য হয়েই তিনি এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনকী মহিলা নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা ব্যক্ত করেন। সন্তানকে বিক্রি করার পরেই তিনি মানবিকভাবে আরও ভেঙে পড়েছিলেন। ফলে সন্তানকে পুনরায় ফিরে পাওয়ার বাসনাও তাঁর মধ্যে বাড়তে থাকে। এরপর তিনি সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা আবেদন করেন, “যিনি আমার সন্তানকে কিনেছেন তিনি জোহানেসবার্গের ওরেঞ্জ ফার্মের কাছেই থাকেন। আমি তাঁর কাছেও আমার ভুল সিদ্ধান্তের কথা বলেছিলাম।”
এ বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার গাউতেং পুলিশের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন টিনটসওয়ালো বলেন, “১৯ অক্টোবর ওই মহিলার বিরুদ্ধে শিশু পাচারের একটি মামলা দায়ের করা হয়। এবং একই দিনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২১ অক্টোবর তাকে গা-রানকুয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।”