গুয়াহাটি: ভোট পর্ব মিটতেও টিকাকরণে গতি আসছে না অসমে। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই জারি করা হয়েছে কার্ফু, কিন্তু সাধারণ মানুষের অভিযোগ, টিকাকরণই হয়নি অধিকাংশের। গত ৭ মে থেকে রাজ্যে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হলেও স্লট বুক করতে পারছেন না অধিকাংশই।
কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, অসমে গত ১৭ মে অবধি মোট ২৭,২৯ লক্ষ মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ় পেয়েছেন। অসমে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেই আনুমানিক ৭০ লক্ষ মানুষকে টিকা দিতে হবে। রাজ্যে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের সংখ্যা ১.০৮ কোটি।
সোমবার অবধি ষাটোর্ধ্ব মোট ২১ লক্ষ মানুষ করোনা টিকা পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে, ১৮ উর্ধ্ব বয়সসীমায় মোট ৭ লক্ষ মানুষ করোনা টিকা পেয়েছেন। সবমিলিয়ে মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৫.৩৩ শতাংশই করোনা টিকা পেয়েছেন। এরমধ্যে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের মাত্র ৬.৪৮ শতাংশই টিকা পেয়েছেন।
এই বিষয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য পরিষেবা ও পরিবার কল্যাণ দফতরের ডিরেক্টর মুনীন্দ্র নাথ নাগাতে বলেন, “সহজে ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের কাছে খুব অল্প সংখ্যক ভ্যাকসিনই সরবরাহ হয়েছে। তার মধ্যে থেকে প্রতিটি জেলায় প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ হাজার ডোজ় পাঠানো হচ্ছে। কেবলমাত্র গুয়াহাটিতেই মোট ৬০টি টিকাকরণ কেন্দ্র রয়েছে ৪৫ উর্ধ্বদের টিকাকরণের জন্য এবং ৫০টি কেন্দ্র রয়েছে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণের জন্য। প্রতিটি কেন্দ্রে রোজ ২০০টি করে ডোজ় প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।”
এ দিকে, টিকা নিতে ইচ্ছুক এক তরুণী জানান, লাগাতার প্রচেষ্টা করলেও কোনওভাবেই স্লট বুক করা যাচ্ছে না। কখনও ওয়েবসাইট কাজ করা বন্ধ করে দিচ্ছে, কখনও আবার ওটিপি আসছে না। তাঁর প্রস্ন, গুয়াহাটিতেই যদি এই অবস্থা হয়, তবে গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতে কী হবে?
আরও পড়ুন: এক মাসেই বদলে গেল চিত্র, বেডের জন্য আবেদন নয়, কোন ম্যাজিকে ফাঁকা হচ্ছে দিল্লির অধিকাংশ হাসপাতাল?