এক মাসেই বদলে গেল চিত্র, বেডের জন্য আবেদন নয়, কোন ম্যাজিকে ফাঁকা হচ্ছে দিল্লির অধিকাংশ হাসপাতাল?
একসময় যেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৫ হাজারের বেশি, সেখানেই গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪৮২ জন।
নয়া দিল্লি: একমাস আগেও শহরজুড়ে হাহাকার ছিল হাসপাতালের শয্যার জন্য। হাসপাতালের বাইরে রোগী ভর্তির জন্য কাকুতি-মিনতিও অতি সাধারণ দৃশ্য হয়ে উঠেছিল দিল্লিতে। কিন্তু কার্যত এক মাসেই সেই দৃশ্য সম্পূর্ণ পাল্টে গেল। রাজ্যে সুস্থতার হার বাড়তেই ফাঁকা হতে শুরু করেছে হাসপাতালগুলি। মঙ্গলবারের হিসাব অনুযায়ী, রাজ্যে মোট সংখ্যক শয্যার মধ্যে কেবল ১৪ হাজার ৮০৫টি শয্যায় রোগী রয়েছেন, বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে ১২ হাজার ৯০৭টি।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আচমকাই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল দিল্লিতে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে এক লাফে বেড়ে পৌঁছেছিল ২৫ হাজারে। চরম আকার ধারণ করেছিল শয্যা ও অক্সিজেন সঙ্কট। বিভিন্ন হাসপাতালে বহু করোনা রোগীর মৃত্যুও হয় অক্সিজেনের অভাবে।
লকডাউন জারির এক সপ্তাহ পর থেকেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকায় তা বারবার দীর্ঘায়িত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। একসময় যেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৫ হাজারের বেশি, সেখানেই গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪৮২ জন, যা ৫ এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন আক্রান্তের সংখ্যা। বিগত একদিনে দিল্লিতে সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছে ২৬৫ জনের। দিল্লিতে বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৪.৩৭ শতাংশ। বর্তমানে রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজার ৮৬৩।
আইটিবিপি ও ডিআরডিও-র তরফে জরুরি পরিস্থিতিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য যে সেন্টার তৈরি করা হয়েছিল, তা বর্তমানে ৫০ শতাংশই ফাঁকা। জানা গিয়েছে, আইটিবিপি-র স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২২৯ টি বেডে করোনা রোগীর চিকিৎসা চলছে, ফাঁকা রয়েছে ২৭১টি। আগে যেখানে প্রতিদিন দুই হাজারেরও বেশি ফোন আসত, সেটিও এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৫০০-৬০০-এ। তাও অধিকাংশই আইসিইউ শয্যার জন্যই ফোন আসে। একইভাবে ডিআরডিও-র তরফেও জানানো হয়েছে, তাদের ৫০০টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ২৬৯টিই ফাঁকা।
আরও পড়ুন: ‘দ্য শো মাস্ট গো অন’, কোভিড যুদ্ধে লড়ার মন্ত্র দিয়ে না ফেরার দেশে পদ্মশ্রী চিকিৎসক কেকে আগরওয়াল