নয়া দিল্লি: উত্তর প্রদেশকে অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই হিসেবেই দেখছে কংগ্রেস। এরই মাঝে দলীয় নেতাদের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। নেতাদের প্রিয়াঙ্কার বার্তা, স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম গুলিকে ব্যবহার করে জনসংযোগ গড়ে তুলতে হবে। এর পাশাপাশি বিজেপির (BJP) ব্যর্থতা ও কংগ্রেসের (Congress) নয়া নীতি গুলিকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।
কংগ্রেসের অস্থায়ী সভানেত্রী সব রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি, জাতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং দায়িত্বে থাকা সম্পাদকদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। সূত্রের খবর, আসন্ন উত্তর প্রদেশ (Uttarpradesh) নির্বাচনে ৪০ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থীদের দাঁড় করানোর প্রসঙ্গ এই বৈঠকে তোলা হয়েছিল। এই বৈঠকেই বিভিন্ন রাজ্যের দলীয় নেতাদের জেলার সংবাদ মাধ্যমগুলিকে ব্যবহার করার আবেদন জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। সব রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতিরা এই বৈঠকে বক্তব্য রাখেন বলেই জানা গিয়েছে।
বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস তীব্র মতানৈক্যের মাঝেই নাগাল্যান্ড (Nagaland) কংগ্রসের সভাপতি কেওয়েখাপে থেরে বলেন, দলের অনুশাসন মেনে চলা প্রয়োজন এবং যাবতীয় নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলতে হবে। ২০১৫ সালে শিরোমণি আকালি দল (Akali Party) সরকারের ক্ষমতায় থাকার সময় পঞ্জাবে বারগাড়িতে ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দেওয়ার ঘটনা ঘটে সেই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি চেয়ে সরব হন পঞ্জাবের কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু। ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-এর (Captain Amrinder Singh) পদত্যাগের পর পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চরণজিৎ সিং চান্নি (Charanjit Singh Channi) নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন ডিজিপি এবং অ্যাডভোকেট জেনারেল (Advocate General) নিয়োগ করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, এই নয়া ডিজি ও অ্যাডভোকেট জেনারেলের বদল চেয়েছেন সিধু। দলের বেশ কিছু নেতা আবার রাহুল গান্ধীকে সভাপতি পদে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস নেতাদের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে ব্যবহার করার কথা বললেও প্রিয়াঙ্কার মূল লক্ষ্য এখন উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) পরিচালিত বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ছেন প্রিয়াঙ্কা। এমনকি লখিমপুর খেরির ঘটনায় প্রিয়াঙ্কাকে আটক করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। প্রিয়াঙ্কার উত্তর প্রদেশকে পাখির চোখ করার কারণ রয়েছে।
দেশের রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতেও এই রাজ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই নির্বাচনের অনেক আগেই থেকেই উত্তর প্রদেশের মাটি কামড়ে পড়ে আছেন প্রিয়াঙ্কা। বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ (Salman Khurshid) জানিয়েছিলেন, বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যদি ক্ষমতায় আসে তবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীই হবেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এই মন্তব্যে ধুঁকতে থাকা কংগ্রেস কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা হলেও, উত্তর প্রদেশের মানুষের মন জয়ে প্রিয়াঙ্কা বা কংগ্রেস কতটা সফল তার উত্তর মিলবে আগামী বছর।
আরও পড়ুন Congress: ‘স্বচ্ছতা ও সংহতির অভাব স্পষ্ট’, নির্বাচনী ব্লু-প্রিন্ট বানাতে বসে নেতাদের তিরস্কার সনিয়ার