Congress: ‘স্বচ্ছতা ও সংহতির অভাব স্পষ্ট’, নির্বাচনী ব্লু-প্রিন্ট বানাতে বসে নেতাদের তিরস্কার সনিয়ার
Congress Meeting: আগামী বছরই উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়া ও মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, আজকের বৈঠকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রচারের পাশাপাশি যোগদান শিবির, প্রশিক্ষণ, আন্দোলন কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা করা হবে।
নয়া দিল্লি: সামনেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly election 2022), তার আগে দলের সমস্ত সাধারণ সম্পাদক, রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। মঙ্গলবার দিল্লিতে কংগ্রেস(Congress)-র সদর দফতরে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সূত্রের খবর, পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্যই এই বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে সনিয়া গান্ধী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), প্রিয়ঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi), মনমোহন সিং সহ কংগ্রেসের অন্যান্য শীর্ষ নেতারাও। এছাড়াও দলের সাধারণ সম্পাদক, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও নির্বাচনমুখী রাজ্যগুলির ভারপ্রাপ্ত প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
এ দিনের বৈঠকের শুরুতেই দলনেত্রী কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও একতা বজায় রাখার অনুরোধ জানান উপস্থিত সকল নেতাকে। ব্যক্তিগত স্বার্থ বা মত দূরে সরিয়ে রেখে সকলে একসঙ্গে মিলে যাতে কাজ করেন, সেই পরামর্শই দেন সনিয়া গান্ধী। পঞ্জাব ও ছত্তীসগঢ়ে দলীয় কোন্দলের উদাহরণ টেনে দলের সভাপতি কার্যত তিরস্কার করেই বলেন, “রাজ্যস্তরে নেতাদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও সহতির অভাব স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে। আমি আবারও “আমি শৃঙ্খলা ও ঐক্যের উপর জোর দিচ্ছি। ব্যক্তিগত আকাক্ষাকে সরিয়ে রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে আমাদের।”
জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে নির্বাচনী প্রচারের পরিকল্পনা ছাড়াও দলের নতুন সদস্য যোগদান অভিযান ও তার জন্য প্রচার নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকেই কংগ্রেসের এই যোগদান কর্মসূচির সূচনা হচ্ছে, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ অবধি চলবে এই কর্মসূচি। গত ১৬ অক্টোবরের সাংগঠনিক বৈঠকেই স্থির করা হয়েছিল, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ১ নভেম্বর থেকে এই যোগদান কর্মসূচি শুরু করা হবে। বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়কে দলে যোগদানে আগ্রহী করার লক্ষ্যে বিশেষ জোর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
Congress Interim President Sonia Gandhi chairs meeting of general secretaries, State in-charges and Pradesh Congress Committee Presidents at party headquarters in Delhi pic.twitter.com/zuKLxAmjkf
— ANI (@ANI) October 26, 2021
আগামী বছরই উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়া ও মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, আজকের বৈঠকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রচারের পাশাপাশি যোগদান শিবির, প্রশিক্ষণ, আন্দোলন কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা করা হবে। রাজ্যভিত্তিক প্রচারের পরিকল্পনাও ভিন্ন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কোন রাজ্যে কোন কোন নেতা প্রচারে যাবেন, প্রতিপক্ষ দলকে কী কী ইস্যুতে আক্রমণ করা হবে, সেই সম্পর্কেও বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এর মধ্যে প্রচারে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে উত্তর প্রদেশে। সেখানে নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে প্রচার চালানো হতে পারে বলেও জল্পনা। ইতিমধ্যেই উত্তর প্রদেশের একাধিক জেলায় সভা করে দলের হয়ে প্রচার সারছেন প্রিয়ঙ্কা। সোমবারই তিনি বারাবানকিতে প্রচারসভায় বলেন, উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে যদি কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে তবে রাজ্যের জনগণকে ১০ লক্ষ টাকা অবধি চিকিৎসা পরিষেবা বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, আগামী বছর অবধি সনিয়া গান্ধীই কংগ্রেসের দায়ভার সামলানোর কথা ঘোষণা করলেও কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি ও ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল সহ একাধিক কংগ্রেস নেতা দাবি জানিয়েছিলেন যে রাহুল গান্ধীই যেন কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সূর্যেওয়ালা জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী এই প্রস্তাব নিয়ে চিন্তাভাবনা করার কথা দিয়েছেন।