Mothabari: ‘একটাই পাগলি মেয়ে’, মোথাবাড়ির ঘটনা নিয়ে সব বলে দিলেন তৃণমূলের সাবিনা
Mothabari: ঘটনার কয়েকদিন পর তাঁর মুখ খোলা নিয়ে মোথাবাড়ির তৃণমূল এই বিধায়ক বলেন, "আজকেই প্রথম মুখ খুলছি। আমার মনে হয়েছে, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এখন বলা যাবে। আমি মোথাবাড়ি ঘুরে এসেছি। মানুষ বাজার করছে। যান চলাচল স্বাভাবিক।"

মোথাবাড়ি: মোথাবাড়িতে হিংসার ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। শাসকদলকে তোপ দেগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। মোথাবাড়ির ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। মোথাবাড়ির পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক বলে দাবি করলেন। আর মোথাবাড়ির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পিছনে তাঁর ভূমিকার কথাও তুলে ধরলেন তৃণমূল এই বিধায়ক।
বিরোধীরা যখন মোথাবাড়ি নিয়ে সরব, তখন সাবিনা বলছেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। তিনি বলেন, “পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং আমাদের দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সহযোগিতা আড়াই দিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পেরেছি। সমস্ত রাজনৈতিক দলের যেসব নেতাদের মনে হয়েছে, তাঁদের ফোন করেছি। সহযোগিতা চেয়েছি।”
ঘটনার কয়েকদিন পর তাঁর মুখ খোলা নিয়ে মোথাবাড়ির তৃণমূল এই বিধায়ক বলেন, “আজকেই প্রথম মুখ খুলছি। আমার মনে হয়েছে, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এখন বলা যাবে। আমি মোথাবাড়ি ঘুরে এসেছি। মানুষ বাজার করছে। যান চলাচল স্বাভাবিক। শান্তির পরিবেশে সবাই একসঙ্গে কাজ করছে। মোথাবাড়ির সেই জায়গায় সবাই ফের হাসিখুশিতে রয়েছে।”
এই খবরটিও পড়ুন
মোথাবাড়িতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তাঁর ভূমিকার কথা তুলে ধরে সাবিনা বলেন, “মোথাবাড়ির বুকে কেউ যদি পুলিশ প্রশাসন ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের লোকের সঙ্গে কথা বলে, সবধর্মের মানুষের কাছে পৌঁছয়, তার নাম সাবিনা ইয়াসমিন।” এরপরই সাবিনা বলেন, “আগুন ছড়ানো সহজ। নেভাতে কেউ আসে না। সাধারণ মানুষের কাছে যান। একটাই পাগলি মেয়ে, পাঁচদিন ধরে দিনরাত এক করে প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে শান্তি ফিরিয়েছি। আড়াই দিনের মাথায় শান্তি ফিরিয়েছি। একবার কৃতিত্ব দেবেন না? বিরোধীরা কেউ এগিয়ে আসেনি। আড়াই দিনে পরিস্থিতি সামলেছি। এটা কৃতিত্বের।”
বিরোধীদের তোপ দেগে সাবিনা বলেন, “আপনারা দেখেছেন, সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি যে যেরকমভাবে পারে, ভুয়ো খবর ছড়িয়ে আরও আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছে। কিছু কিছু কংগ্রেস, বিজেপির নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়িয়েছেন। অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাঁরা যাঁরা এই কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাঁরা কেউ ছাড় পাবেন না।” তবে তৃণমূলের কোনও নেতা এতে জড়িত নন বলে দাবি করেন মোথাবাড়ির বিধায়ক।





