
নয়া দিল্লি: বেয়াদপ পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে সিন্ধুচুক্তি স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশ এখন ভয় পাচ্ছে গঙ্গা নিয়েও ভারত তেমন কিছু না করে বসে। কারণ মহম্মদ ইউনুসের সরকার জানে যে তারা নিজেরা লাগাতার নানারকম ভারতবিরোধী কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তাতে দিল্লি ইতিমধ্যেই ইনফরমালি ঢাকাকে জানিয়ে দিয়েছে, আগের শর্তে আর গঙ্গা চুক্তি রিনিউ হবে না। নতুন করে টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন ঠিক করতে হবে।
মুর্শিদাবাদে ফরাক্কার একটু পরেই গঙ্গা দু-ভাগ হয়ে গেছে। এদিকে হুগলি নদী। আর অন্যটা বাংলাদেশে পদ্মা। ১৯৫০ সালে বাংলাদেশে অবাধে জল চলে যাওয়া আটকাতে ভারত ফরাক্কার ওপর বাঁধ তৈরি করে। যার অন্যতম লক্ষ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গে যাতে সেচের জলের অভাব না হয়। আর কলকাতা বন্দরের নাব্যতা যাতে ঠিক থাকে। স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি হওয়ার পর গঙ্গার জল ভাগাভাগি নিয়ে দু-দেশের মধ্যে পাঁচ বছরের জন্য একটা অস্থায়ী চুক্তি হয়েছিল। তারপর দীর্ঘদিন কোনও চুক্তিই ছিল না।
১৯৯৬ সালে ভারত-বাংলাদেশ গঙ্গা চুক্তি সই হয়। চুক্তি সই করেন এইচডি দেবগৌড়া ও শেখ হাসিনা। তাতে বলা হয় শুখা মরসুমে ফরাক্কায় যখন জলের প্রবাহ ৭৫ হাজার কিউসেক বা তার নীচে থাকবে তখন ভারত ও বাংলাদেশ দু-দেশই ৩৫ হাজার কিউসেক করে জল পাবে। আর ভরা মরসুমে জলের প্রবাহ যখন ৭৫ হাজার কিউসেক ছাড়িয়ে যাবে তখন ভারত ফিক্সড ৪০ হাজার কিউসেক জল পাবে। বাকি জল চলে যাবে পদ্মায়।
গঙ্গা চুক্তি হয়েছিল ৩০ বছরের জন্য। ফলে সামনের বছরই এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সূত্রের খবর, দিল্লি আর এত লম্বা মেয়াদে চুক্তি করতে চাইছে না। দিল্লি চাইছে নতুন চুক্তির মেয়াদ খুব বেশি হলে হবে ১৫ বছর। আর জল ভাগাভাগির রফাসূত্র নতুন করে ঠিক করতে হবে। কারণ, গত ৩ দশকে বৃষ্টিপাতের ধরণ বদলে গেছে। কৃষি ও উন্নয়নে নতুন চাহিদা তৈরি হয়েছে। কলকাতা বন্দর যাতে ড্রাই হয়ে না যায়, পশ্চিমবঙ্গে সেচের জলের যাতে অভাব না হয়, সেসব দিকই দেখতে হচ্ছে। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে বাংলাদেশ।