মহারাষ্ট্র : আবারও এক বন্যপ্রাণীকে ধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনায় চারজনকে হাতেনাতে ধরল বন দফতর। এক বিরল প্রজাতির গোসাপকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে মহারাষ্ট্রে। বিষয়টি নজরে আসতেই বন বিভাগের তরফে সঙ্গে সঙ্গে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। অভিযোগ ব্র্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের বনাঞ্চলের অনেক ভিতরে গাভা এলাকায় এই কাজ করেছে অভিযুক্তরা। উপযুক্ত প্রমাণ পেয়েই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা হলেন সন্দীপ তুকরাম, পাওয়ার মঙ্গেশ, জনার্দন কামতেকর ও অক্ষয় সুনীল। অভিযুক্তদের মোবাইলেই ধর্ষণের প্রমাণ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে বন দফতরের তরফে। দফতরের আধিকারিকদের দাবি, মোবাইলে ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ধর্ষণ করা হয়েছে গোসাপকে।
অভিযোগ, গোথানে গ্রামের কাছে জঙ্গলের কোর এরিয়ায় ঢুকে পড়েছিল চার জন। শিকারের জন্য তাঁরা জঙ্গলে প্রবেশ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তারপরই এই ঘটনা ঘটে। চারজন যখন জঙ্গলের গভীরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, সেই সময় তাঁদের ছবি দেখা যায় সিসিটিভি-তে। ফুটেজ দেখেই তাঁরা ধরা পড়েন। প্রথমে তাঁদের আটক করেন বনকর্মীরা। এরপরই ধৃতদের মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখা হয়। গোসাপকে গণধর্ষণের ভিডিয়ো তখনই দেখা যায়। বনকর্মীরাও ওই দৃশ্য দেখে চমকে যান। এরপরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়৷
মহারাষ্ট্রের বন দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চারজনের মধ্যে তিনজন কোঙ্কন থেকে কোলাপুরে এসেছিলেন শিকারের জন্য। ধৃতদের বিরুদ্ধে কোন ধারায় মামলা দেওয়া হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ১৯৭২ ভারতীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, গোসাপ হল সংরক্ষিত প্রজাতির প্রাণী। তাই দোষ প্রমাণিত হলে ধৃতদের সাত বছর পর্যন্ত জেলের শাস্তি দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন : CBI On Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসায় আকাশ যাদব খুনের ১ বছরের মাথায় অস্ত্রের খোঁজে সিবিআই