Fraud Case: চোখে চশমা, হাতে দামি ঘড়ি, ভারিক্কি গলায় বলেছিল ‘ভর্তি হয়ে যাবে’! লক্ষাধিক টাকা দিতেই যা হল…

Madhya Pradesh: কলেজে অ্যাডমিশন নিয়ে যখন তিনি কথা বলতে গিয়েছিলেন, তখনই অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। সে নিজেকে কলেজের কর্মী হিসাবে পরিচয় দেয়। জানায় যে টাকা দিলে ওই পড়ুয়ার ভর্তির ব্যবস্থা করে দেবে।

Fraud Case: চোখে চশমা, হাতে দামি ঘড়ি, ভারিক্কি গলায় বলেছিল 'ভর্তি হয়ে যাবে'! লক্ষাধিক টাকা দিতেই যা হল...
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2023 | 10:47 AM

ভোপাল: পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট বা অ্যাডমিশন পরীক্ষা দেওয়ার কোনও দরকার নেই, এক ফোনেই হয়ে যাবে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা। কেতাদুস্তর জামাকাপড়, চোখে চশমা পরে এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিত যুবক। তাঁর আত্মবিশ্বাসী কথার সুরেই ভরসা করে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে দিতেন পড়ুয়াদের অভিভাবক। হাতে কলেজের ফর্ম এলেও, তারপরই হঠাৎ সব চুপচাপ। অফিসে গিয়ে, ফোন করেও আর খোঁজ মিলত না সেই যুবকের। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির (Medical College Admission) নাম করেই লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিত অভিযুক্ত। সম্প্রতিই এক পড়ুয়াকে ঠকিয়ে ১.২ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগেই এক প্রতারককে গ্রেফতার করল ক্রাইম ব্রাঞ্চ (Crime Branch)।  ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য় প্রদেশের ভোপালে (Bhopal)। সেখানেই একাধিক পড়ুয়াকে ঠকিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ভোপালের মিসরোদ অঞ্চলে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের নার্সিং কোর্সে ভর্তি করানোর জন্য এক পড়ুয়ার দাদার থেকে ১.২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপরই ওই যুবক থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, কলেজে অ্যাডমিশন নিয়ে যখন তিনি কথা বলতে গিয়েছিলেন, তখনই অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। সে নিজেকে কলেজের কর্মী হিসাবে পরিচয় দেয়। জানায় যে টাকা দিলে ওই পড়ুয়ার ভর্তির ব্যবস্থা করে দেবে। ধাপে ধাপে মোট ১.২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় অভিযুক্ত।

অভিযোগ দায়েরের পরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কিন্তু একটি ফোন নম্বর ছাড়া তাদের হাতে কোনও সূত্র ছিল না। প্রতারিত যুবক যে ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছিল, তার টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস করে সাইবার ক্রাইম বিভাগ। এরপরই জানা যায়, অভিযুক্ত নর্মদাপুরম জেলায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে, তার মোবাইল ফোন ও সিম কার্ডও  বাজেয়াপ্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম বলরাম সাহা। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রতারণার টাকা নিজের ব্যবসায় খাটাত।