আহমেদাবাদ: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবেই সায় দিল বিজেপি (BJP)। বেছে নেওয়া হল গুজরাটের নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুজরাটের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ভূপেন্দ্র পটেল (Bhupendra Patel)। এ দিন বিজেপির দলীয় পরিষদীয় বৈঠকে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়।
শনিবারই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বিজয় রুপাণী (Vijay Rupani)। এরপরই নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর (Narendra Singh Tomar) ও প্রহ্লাদ যোশী (Pralhad Joshi)-কে। মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে নাম ছিল নীতিন পটেল, মনসুখ মাণ্ডব্য, আরসি ফালদু, পুরুষোত্তম রুপালার। কিন্তু এ দিনের পরিষদীয় বৈঠকে সকলকে চপকে দিয়ে ভূপেন্দ্র পটেলকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়।
শনিবার দুপুরে রাজভবনে হাজির হয়েছিলেন বিজয় রূপাণী। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, রাজ্যের কোন সাংবিধানিক ইস্যুতেই তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। কিন্তু বেরিয়েই বিজয় রূপাণী জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
এরপরই নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তড়িঘড়ি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর ও প্রহ্লাহ যোশীকে পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়। এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ তারা আহমেদাবাদে পৌছন। গান্ধীনগরে বিজেপির সদর দফতরে বৈঠক বসে। সেই বৈঠকেই ভূপেন্দ্র পটেলের নাম স্থির করা হয়।
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপাণীই ভূপেন্দ্র যাদবের নাম সুপারিশ করেছিলেন বৈঠকে। তিনি গুজরাটের ঘাটলোধিয়া বিধানসভা আসনের জয়ী প্রার্থী। উল্লেখ্য এই আসন থেকেই নির্বাচনে প্রার্থী হতেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল। ভূপেন্দ্র পটেলও আনন্দীবেনের ঘনিষ্ট বলে জানা গিয়েছে।
ইস্তফা দেওয়ার কোনও কারণ উল্লেখ না করেই রূপাণী বলেন, “গুজরাটের উন্নয়ন যাত্রা এ বার নতুন নেতৃত্বের অধীনে যাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। সঙ্গে নতুন প্রাণশক্তি ও উৎসাহ থাকবে। এই কথা মাথায় রেখেই আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি।”
মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি নেতৃত্বকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন রূপাণী। তাঁর কথায়, “আমার মতো দলীয় কর্মীকে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মানুষের সেবা করার জন্য দলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার মুখ্যমন্ত্রিত্বের গোটা সময়টা আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরামর্শ পেয়েছি। তাঁর নেতৃত্বে গুজরাটের উন্নয়ন নতুন উচ্চতা স্পর্শ করেছে। এই রাজ্য এবং রাজ্যের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়ায় আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।”
আরও পড়ুন: Farmer Protest : সবাই কৃষক নন, রাজনৈতিক মদতপুষ্ট বিক্ষোভ; খট্টরের নিশানায় কংগ্রেস
আরও পড়ুন: অসম নৌকাডুবি: সর্ষের ভিতরেই ভূত! গ্রেফতার করা হল ৬ জনকে