Farmer Protest : সবাই কৃষক নন, রাজনৈতিক মদতপুষ্ট বিক্ষোভ; খট্টরের নিশানায় কংগ্রেস
Manohar Lal Khattar :
চণ্ডীগঢ় : কৃষক বিক্ষোভকে (Farmer Protest) রাজনৈতিক মদতপুষ্ট। এমনটাই মনে করেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর(Manohar Lal Khattar)। তাঁর সাফ কথা, তিনটি কৃষক আইন বিরুদ্ধে যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের বিক্ষোভ রাজনৈতিক মদতপুষ্ট। আর সব বিক্ষোভকারীরা কৃষকও নন। এই নিয়েই এবার নাম না করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন হরিয়াণার মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি কারনালে কৃষক বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। ২৮ অগস্ট হরিয়ানার কর্নলে একটি দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। সেই বৈঠক ঘিরেই প্রতিবাদ করছিলেন কৃষকরা। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে রাখলেও বৈঠক ঘিরে অশান্তির আশঙ্কাতেই ঘটনাস্থানে আসেন কর্নলের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট আয়ুষ সিনহা। সেখানেই তিনি নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে পুলিশকে নির্দেশ দেন, কৃষকরা যেন কোনওমতেই ব্যারিকেড টপকে এগোতে না পারে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা যায়, “খুব সোজা কথা বলছি। যেই হোক না কেন, যেখান থেকেই আসুক না কেন, কাউকে যেন এই ব্যারিকেড টপকে ভিতরে আসতে না দেওয়া হয়। কোনও নির্দেশের অপেক্ষা করতে হবে না, হাতে লাঠি নিন এবং মেরে মাথা ফাটিয়ে দিন। আমি যদি একজন আন্দোলনকারীকেও দেখতে পাই, তবে তার মাথা যেন ফাটিয়ে দেওয়া হয়।”
এই মন্তব্যের পর থেকে বিক্ষোভ আরও তুমুল আকার ধারণ করে। আর এই নিয়েই এবার কংগ্রেস শিবিরকে আক্রমণ শানালেন মনোহর লাল খট্টর। বলেন, “একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষই কৃষক বিক্ষোভের সঙ্গে যুক্ত। আর তাদের মধ্যে অনেকেই কৃষক নয়।”
মনোহর লাল খট্টর বলেন, “বিক্ষোভকারীদের ভুল পথে চালিত করা উচিত নয় কংগ্রেসের। এই ধরনের কাজ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রত্যেকেই জানে হরিয়ানা সরকারের বিরুদ্ধে যে ধরনের বিরূপ মন্তব্য করা হচ্ছে, সেগুলি কারা করছে।” কার্যত হুঙ্কার দিয়ে রাখেন তিনি, “যদি কেউ আইন ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার চেষ্টা করে, তাহলে রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্ব তা সামাল দেওয়া। এই ধরনের মন্তব্যকে করে কংগ্রেস নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে পারবে না।”
পাঁচ দিন ধরে হরিয়ানার কারনালে মিনি সেক্রেটারিয়েটের বাইরে যে বিক্ষোভ চলছে, সেই প্রেক্ষিতেই মনোহর লাল খট্টর আজ এই আক্রমণ করেন। এর আগে আজ সকালে কৃষকদের এক প্রতিনিধি দল রাজ্যে আখের দাম কুইন্টাল পিছু ১২ টাকা বাড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানাতে মনোহর লাল খট্টরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, নতুন মরশুমে রবি শস্যের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের পরিমাণ বাড়াল কেন্দ্র। ২০২১-২২ আর্থিক বছরের জন্য গমের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আগে প্রতি কুইন্টাল গম ১ হাজার ৯৭৫ টাকায় কিনত কেন্দ্র। এখন থেকে তা ২ হাজার ১৫ টাকায় কেনা হবে। অর্থাৎ, প্রতি কুইন্টালে ৪০ টাকা করে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়াচ্ছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন : ব্যারিকেড ভেঙে সরকারি কার্যালয়ের সামনেই তাঁবু! মহাপঞ্চায়েতের নামে পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার কৃষকদের