Bihar: ৯ বছরের বোনকে খুনের পর টুকরো করে অ্যাসিডে পোড়াল ১৩ বছরের কিশোরী ও প্রেমিক

TV9 Bangla Digital

TV9 Bangla Digital | Edited By: Amartya Lahiri

Updated on: May 24, 2023 | 5:27 PM

Bihar minor girl kills younger sister: ৯ বছর বয়সী বোনকে হত্যার দায়ে ধৃত তার ১৩ বছর বয়সী দিদি ও তার প্রেমিক। হত্যার পর দেহ লোপাট করতে কেটে টুকরো টুকরো করে পুড়িয়ে দিয়েছিল অ্যাসিড দিয়ে।

Bihar: ৯ বছরের বোনকে খুনের পর টুকরো করে অ্যাসিডে পোড়াল ১৩ বছরের কিশোরী ও প্রেমিক
প্রতীকী ছবি

Follow us on

পটনা: হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গিয়েছিল ৯ বছরের মেয়েটি। দিনমজুর বাবা, কাজের জন্য বাইরে ছিলেন। মেয়ের নিখোঁজের বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তার মা। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত যে ওই নাবালিকার পচা-গলা, অ্যাসিডে পোড়া দেহাংশ উদ্ধার হবে, তা কেউ ভাবতে পারেনি। কেউ ভাবতেও পারেনি, এই হত্যার দায়ে তার ১৩ বছর বয়সী দিদি এবং তার প্রেমিককে গ্রেফতার করা হবে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বৈশালী জেলায়। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকাটির দিদি এবং তার প্রেমিক দুজনে মিলে ওই নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল। তারপর, তাদের জনদহের বাড়িতেই একটি বাক্সে ভরে দেহটি রেখে দিয়েছিল তারা।

পরদিনই দেহটিতে পচন ধরতে শুরু করেছিল। কটু গন্ধ বের হতে শুরু করেছিল। এরপর, ১৩ বছরের মেয়েটি এবং তার প্রেমিক মিলে, বোনের দেহটি কেটে টুকরো টুকরো করেছিল এবং অ্যাসিড দিয়ে দেহাংশগুলি পুড়িয়ে দিয়েছিল। তারপর বাড়ির পিছনে ঝোপের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল পোড়া দেহংশগুলি। কিন্তু, সেগুলি গ্রামবাসীদের নজরে পড়ে যায়। তারাই স্থানীয় থানায় খবর দিয়েছিল। এরপরই খুনের ঘটনাটি সামনে আসে বলে, জানিয়েছেন বৈশালীর পুলিশ সুপার রবিরঞ্জন কুমার। কিন্তু, ওই দেহাংশগুলি কার, তা শনাক্ত করতে সমস্যায় পড়েছিল পুলিশ। শেষে পুলিশ কুকুর এবং ফরেন্সিক ল্যাবের সহায়তা নেয় তারা।

পুলিশ সুপার বলেছেন, “আমরা এরপর ঘটনাস্থলে ডগ স্কোায়াড এবং ফরেন্সিক টিম পাঠিয়েছিলাম। তারা দেহাংশগুলি নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করে। দেখা যায় দেহাংশগুলি কোনও নাবালক বা নাবালিকার। এরপর আমরা ওই এলাকায় যে যে শিশু নিখোঁজ বলে রিপোর্ট করা হয়েছে, তাদের সন্ধান করা শুরু করি। দেখা যায় ১৬ মে একটি ৯ বছরের শিশুকন্যা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। আর দেহংশগুলি পাওয়া গিয়েছিল ১৯ তারিখ। আমরা এরপর দেহংশগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাই। দেহাংশগুলি ওই ৯ বছরের মেয়েটিরই বলে পুলিশের হাতে যথেষ্ট প্রমাণ আসে।”

এরপর, নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের জেরা করা শুরু করেছিল পুলিশ। এসপি রবিরঞ্জন কুমার জানিয়েছেন, মতার দিদিকে জেরা করতেই সে ভেঙে পড়েছিল এবং পুলিশের কাছে পুরো ঘটনাক্রম খুলে বলেছিল। ১৩ বছরের মেয়েটি জানায়, দিন কয়েক আগে সে এবং তার প্রেমিক শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছিল। তার বোন তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেকে ফেলেছিল। বোন তার বাবা-মাকে তাদের বিষয়ে জানিয়ে দেবে বলে ভয় পেয়েছিল সে। আর তাই প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে বোনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।

Latest News Updates

Related Stories

Click on your DTH Provider to Add TV9 Bangla