
সেজে উঠেছে পটনা। আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা মাত্র। বিহারে কী নতুন সূর্যোদয় হবে নাকি মুখ্যমন্ত্রী মানেই নীতীশ কুমার-এই প্রবাদই ফের সত্যি হবে? আজ বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ। দুই দফায় ভোট গ্রহণ হয়েছে এবার বিহারে। আজ ফলাফল। সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হবে। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার হল ১২২। কোন জোট পাবে এত আসন? বুথ ফেরত সমীক্ষায় আরজেডি, কংগ্রেস, সিপিআইএমের মহাগঠবন্ধনের থেকে এগিয়ে রয়েছে জেডিইউ, বিজেপি, এলজেপির এনডিএ। তবে পূর্বাভাস নাও মিলতে পারে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা প্রবল।
কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে মোদী বলেন, “উত্তর প্রদেশে চার দশক, পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ দশকেও কংগ্রেস ফেরেনি। গত তিন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস তিন অঙ্কেও পৌঁছতে পারেনি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের পর ৬ রাজ্যে বিধানসভা ভোট হয়েছে। একটাতেও ১০০ পার করতে পারেনি কংগ্রেস। বিহারে বিজেপির যত প্রার্থী জিতেছে, গত ৬টা ভোটেও কংগ্রেসের অত প্রার্থী জেতেনি। কংগ্রেসের রাজনীতির আধার হল নেগেটিভ পলিটিক্স। কখনও বলছে চৌকিদার চোর। কখনও সংসদের সময় নষ্ট করছে। সব প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণ করছে। মানুষকে জাতির নিরিখে ভাগ করা। কংগ্রেসের কাছে দেশের জন্য কোনও ইতিবাচক ভিশন নেই।”
মোদী আরও বলেন, “আজ কংগ্রেস মুসলিম লিগি মাওবাদী কংগ্রেস তৈরি হয়েছে। এটা এমএমসি। এই কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা এর উপরেই চলে। আজ কংগ্রেসের অন্দরেও আলাদা ভাগ তৈরি হচ্ছে, যারা নেতিবাচক রাজনীতিতে বিরক্ত। আমার আশঙ্কা, আগামিদিনে কংগ্রেসের একটা বড় বিভাজন তৈরি হবে। আর কংগ্রেসের যাার সহযোগী দল, তারাও বুঝতে পারছে কংগ্রেস নিজেদের নেতিবাচক রাজনীতিতে সবাইকে একসঙ্গে ডোবাচ্ছে।”
আরজেডি প্রসঙ্গে মোদী বলেন, “কংগ্রেস পরজীবী দল। এরা সহযোগীদের ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে জিততে চায়। কংগ্রেসের থেকে সাবধান থাকুন। আজ বিহারে আরজেডির শিক্ষা হয়েছে। বিহারে র ভোটের সময় বলেছিলাম, আরজেডি আর কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব শীঘ্রই সামনে আসবে।”
মোদী বলেন, “আমাদের সরকার ছট পুজোকে ইউনেসকো হেরিটেজ লিস্টে জায়গা করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। পুরো দেশ, গোটা বিশ্ব এই সংস্কৃতির সঙ্গে জুড়ে যাবে। এই বছর রেল স্টেশনে ছট মায়ের গান শোনা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে কীভাবে সবাই এই ঐতিহ্যের সঙ্গে মিলে গিয়েছে।”
মোদী বললেন,
বিহারের পরিস্থিতি কীভাবে বদলেছে, সে কথা বলতে গিয়ে মোদী বলেন,
বিহারকে ধন্যবাদ জানিয়ে নরেন্দ্র মোদী বললেন,
কংগ্রেসকে পরজীবী পার্টি বলে আক্রমণ করে জে পি নাড্ডা বলেন, ‘বিহার ওদের ধুয়ে-মুছে দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বিহারে যুব সমাজ সমর্থন করেছে, কৃষকরা সমর্থন করেছে। বিহারের মানুষকে ধন্যবাদ।’
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেন, “এই লড়াই ছিল বিজেপি বনাম জঙ্গলরাজের লড়াই। বিকাশের জয় হয়েছে।”
বিজেপি নেতা আরও বলেন, “ভারতের মানুষ ঠিক করে ফেলেছে, যে নির্বাচনই হোক না কেন, তাতে বিজেপিকেই জেতাবে। মোদীর প্রতি অটুট বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। লোকসভায় আসন কমে গিয়েছে। হরিয়ানার মানুষ তাতে মুখের উপর জবাব দিয়েছে। মহারাষ্ট্রেও বিধানসভায় সুদ সমেত ফিরিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে।”
একইসঙ্গে দিল্লির কথাও উল্লেখ করেন নাড্ডা। সেখানে দীর্ঘ সময় পর বিজেপি সরকার গঠন করেছে। তাঁর কথায়, “যেখানেই ভোট হচ্ছে। সেখানেই সব রেকর্ড ভেঙে জয় হচ্ছে বিজেপির।” বিহারের মানুষও নীতীশ কুমারের সুশাসনে শিলমোহর দিয়েছে।
বিজেপির সদর দফতরে প্রবেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাত দিয়ে উত্তরীয় ঘোরাতে ঘোরাতে মঞ্চে উঠলেন তিনি। ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রয়েছে জে পি নাড্ডা।
শেষ বিধানসভা নির্বাচনেও ১৯টি আসনে জয় লাভ করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু দুপুর ৩টের আপডেট বলছে, এবারে তারা নেমে এসেছে ৩টি আসনে। আপাতত এই ক’টিতেই এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। একই হাল তেজস্বীরও। আরজেডি এগিয়ে মাত্র ২৬টি আসনে। কিন্তু ভোটের অঙ্কে কংগ্রেসে আঁধার নামাল কে? সমীকরণে ভুল করলেন রাহুল?
পড়ুন বিস্তারিত: পদযাত্রায় জনসমুদ্র, ভোট-বাক্সে খরা! কোন সমীকরণে ভুল করলেন রাহুল?
একটু একটু করে কমল আরজেডি-র ভোটের দাপট। সকাল থেকে ভোটের অঙ্কে নিজেদের ধরে রাখতে পারলেও, বেলা গড়াতেই বদলে গেল সমীকরণ। মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক, সমন্বয়ের অভাব ভোটবাক্সেও তাড়িয়ে বেড়াল তাঁদের।
বিহারে কেন পতন আরজেডি-র, কেন ভাঙল ‘মহাগঠবন্ধন’-এর আত্মবিশ্বাস? পড়ুন এখানে ক্লিকে করে।
সকালে দু’টি আসনে এগিয়ে ছিল প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টি। কিন্তু বেলা গড়াতেই হাওয়া বদল। হারিয়ে গেল পিকের দল। কিন্তু কেন এমনটা হল? পড়ুন এখানে ক্লিক করে
জাদু করেছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar), অন্যদিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারেরও প্রতিশ্রুতি জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছে। মোদী-নীতীশের প্রতিশ্রুতিতে ভরসা করেই বিহারে নির্বাচনের বৈতরণী পার হচ্ছে এবার। কী কী ফ্যাক্টর কাজ করল এবারের ভোটে? কীভাবে এত বিপুল সমর্থন জোগাড় করল এনডিএ?
বিস্তারিত পড়ুন: এই চার ‘ওষুধে’ই বিহার জিতে নিলেন নীতীশ-মোদীরা
সকালে ঘোড়ার মতো ছুটলেও, এখন মন্থর গতি বিরোধী জোট, মহাগঠবন্ধনের। এনডিএ যেখানে ১৯৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে, সেখানেই মহাগঠবন্ধন মাত্র ৪১ আসনে এগিয়ে রয়েছে। জন সূরজ পার্টি খাতা খুলতে পারেনি, ৫টি আসনে এগিয়ে অন্যান্য দল।
পিছিয়ে তেজস্বী, মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছেন তেজ প্রতাপ। তৃতীয় রাউন্ড শেষে তেজস্বী যাদব পিছিয়ে রয়েছেন ১২০০ ভোটে। তেজ প্রতাপ পিছিয়ে রয়েছেন ১০ হাজার ভোটে।
পড়ুন বিস্তারিত: রাঘোপুরের ‘রাঘব বোয়াল’ হওয়া হবে না তেজস্বীর? পিছিয়ে বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী
টাইগার আবি জিন্দা হ্যায়। বিহারে লোকমুখে ঘুরছে সলমনের সিনেমার নাম। লাগানো হয়েছে বড় বড় পোস্টারও। না, সিনেমার প্রচার নয়, এই কথা বলা হচ্ছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য। আজ বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ (Bihar Assembly Election Results)। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে গণনা। আর এক ঘণ্টা কাটতেই রাজ্যজুড়ে পোস্টার পড়ছে নীতীশ কুমারের। তাতে লেখা “টাইগার আবি জিন্দা হ্যায়”। ভোটের ফল প্রকাশের আগেই যেন সকলে আত্মবিশ্বাসী যে মসনদে ফিরছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)।
সকাল থেকেই এগিয়ে ছিলেন তেজস্বী যাদব। পারিবারিক চেনা আসন রাঘোপুর থেকেই লড়ছিলেন তেজস্বী। তবে তৃতীয় রাউন্ড গণনা শুরু হতেই পিছিয়ে পড়লেন লালু পুত্র। ১২০০ ভোটে পিছিয়ে পড়েছেন তেজস্বী।
বিহারে গেরুয়া ঝড়। জেডিইউ, আরজেডির মতো আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলকে পিছনে রেখে বিহারে এখন সবথেকে এগিয়ে বিজেপি। একক দল হিসাবে ৮২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
বিহারের ভোটে কাজ করে গেল নীতীশ ম্যাজিক। এনডিএ বর্তমানে এগিয়ে রয়েছে ১৬৭ আসনে। নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ চাপে থাকবে বলে প্রথমে মনে করলেও, সময় এগোতেই বদলাচ্ছে ছবিটাও। জেডিইউ এখন এগিয়ে রয়েছে ৬৯ আসনে। বিজেপি কখনও পিছিয়ে যাচ্ছে, কখনও এগিয়ে যাচ্ছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে একক সর্ববৃহৎ আসন সংখ্যা ছিল লালুর দল আরজেডির। এবারও কি সেই ট্রেন্ডই অনুসরণ হতে চলেছে? জেডিইউ, বিজেপি-কে ছাপিয়ে এখন সবার থেকে এগিয়ে আরজেডি।
সকালে গণনা শুরু হতেই এগিয়ে এনডিএ। এগিয়ে রয়েছেন নীতীশের মন্ত্রিসভার ১০ মন্ত্রী।
গণনার শুরুতেই ম্যাজিক ফিগারে এনডিএ। ১৪২ আসনে এগিয়ে বিজেপি-জেডিইউ-এলজেপি-হাম-আরএলএমের জোট।
বিহারে সরকার গড়তে প্রয়োজন ১২২টি আসন। ২৪৩টি আসনের প্রাথমিক ফল বলছে, এনডিএ এগিয়ে ১৩৩টি আসনে। আর মহাগঠবন্ধন এগিয়ে ১০৬টি আসনে। প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ পার্টি এগিয়ে ৩টি আসনে। অন্যরা একটি আসনে এগিয়ে।
ব্যবধান কমছে এনডিএ-মহাগঠবন্ধনের। এনডিএ যেখানে ১২৩টি আসনে এগিয়ে, সেখানেই মহাগঠবন্ধন ১০০টি আসনে এগিয়ে।
আরজেডি থেকে বহিষ্কারের পর আলাদা দল করে নির্বাচনে লড়ছেন লালু প্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজ প্রতাপ যাদব। গণনার শুরুতে সামান্য পিছিয়ে পড়লেও, ফের এগিয়ে গিয়েছেন তেজ প্রতাপ।
বিহার ভোটের রেজাল্টে চমক পিকে-র। গণনার শুরুতে আপাতত ৪ আসনে এগিয়ে রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের জন সূরজ পার্টি।
বিহারের ভোট গণনার শুরুতেই এগিয়ে যাচ্ছে এনডিএ। জেডিইউ-বিজেপি-এলজেপির জোট ইতিমধ্যেই ১০৪ আসনে এগিয়ে রয়েছে।
রঘুপুর থেকে লড়ছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। ভোট গণনার শুরুতে আপাতত এগিয়ে রয়েছেন তেজস্বী।
গণনা শুরু হতেই উঠল ঝড়। প্রথম রাউন্ডেই আপাতত ৬১ আসনে এগিয়ে এনডিএ, মহাগঠবন্ধন জোট এগিয়ে ৩৫ আসনে এগিয়ে।
ভোট গণনার শুরুতেই এগিয়ে এনডিএ। ৯টি আসনে এনডিএ। ২টি আসনে এগিয়ে মহাগঠবন্ধন।
ভোটের ফলপ্রকাশ হলেও, আজ কোনও উদযাপন হবে না বিহারে। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের আবহে সতর্কতাবশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিহারের স্থানীয় বাসিন্দারা কী বলছে? কেউ বলছেন, এবার তো পালাবদল হবেই। মুখ্যমন্ত্রী হবেন তেজস্বী যাদব। কেউ আবার বলছেন, নীতীশ কুমারের কোনও বিকল্প নেই। তিনি যথেষ্ট ভাল কাজ করেছেন, তাই এবারও তাঁরই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত।
বিহারের ময়দানে এবার নতুন এক প্রতিদ্বন্দ্বীর উদয়। ভোটে লড়েছে প্রশান্ত কিশোরের দল, জন সূরজ পার্টি। পিকে নিজে যদিও নির্বাচনে লড়েননি। ভোটের ফল নিয়ে বেশ আশাবাদী পিকে। তিনি বলেছেন, হয় ১০টির কম আসন পাবেন, আর নাহলে ১০০-রও বেশি আসন।
বিহারের বিধানসভা নির্বাচন এবার বিশেষ, কারণ এসআইআরের পর এই প্রথমবার বিহারে ভোট হল। এসআইআরে বিহারে প্রায় ৬৫ লাখেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। অন্যদিকে এবার রেকর্ড ভোট পড়েছে। ৬ নভেম্বর ২৪৩ আসনের বিধানসভায় প্রথম দফায় ১২১টি আসনে ভোট পড়েছিল ৬৫.০৮ শতাংশ। ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১২২টি আসনে ৬৮.৭৮ শতাংশ।
বিহার বিধানসভায় মোট আসন ২৪৩। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২ আসন।
নীতীশ কুমার নাকি তেজস্বী যাদব-বিহারের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবন কে? এনডিএ-র মুখ্যমন্ত্রী মুখ হয়েছেন ফের একবার নীতীশ কুমারই। অন্যদিকে বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী মুখ হয়েছেন লালু পুত্র তেজস্বী যাদব।