Bihar: বিয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে বিউটি পার্লারে ঢুকে কনেকে গুলি পুলিশকর্মীর
Bihar: বিয়ের মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি ছিল। মেক-আপ করতে বিউটি পার্লারে গিয়েছিলেন কনে। কিন্তু, তারপরই ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা।
মুঙ্গের: বিয়ের মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি ছিল। মেক-আপ করতে বিউটি পার্লারে গিয়েছিলেন কনে। কিন্তু, তারপরই ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। বিউটি পার্লারের ভিতরেই কনেকে লক্ষ করে গুলি চালাল এক পুলিশ কর্মী। বরাত জোরে বেঁচে গেলেও, গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। চাঞ্চল্যকর এইঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (২১ মে) রাতে, বিহারের মুঙ্গের শহরে। বিহার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম আমন কুমার। বিহার পুলিশের এই কর্মী বর্তমানে পাটনায় নিযুক্ত।
রবিবার রাতেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ২৬ বছরের অপূর্বা কুমারীর। তার বাড়ি মুফাসসিল থানা এলাকার তারাপুর দিয়ারায়। বিয়ের জন্য প্রস্তুত হতে তিনি কাসিম বাজার থানা এলাকার কস্তুরবা ওয়াটার ওয়ার্কসে অবস্থিত একটি বিউটি পার্লারে গিয়েছিলেন। অভিযুক্ত আমন কুমারও তার পিছু পিছু সেই বিউটি পার্লারে গিয়ে উপস্থিত হয়। এরপরই আচমকা সে পিছন থেকে অপূর্বাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলিটি অপূর্বার বাম কাঁধের পিছন দিক দিয়ে ঢুকে বুকের ডান দিক থেকে বেরিয়ে যায়।
বিউটি পার্লারের কর্মীরা জানিয়েছেন, অপূর্বার সঙ্গেই এসেছিলেন আমন কুমার। যখন সে কনের পোশাক পরছিল, তখন আমন পিছনে দাঁড়িয়েছিল। বিউটি পার্লারের কর্মীরা ভেবেছিলেন তিনি অপূর্বার পরিবারেরই কোনও সদস্য। তাই তারাও কোনও আপত্তি জানাননি। তারপরই সে পিছন থেকে গুলি করেছিল। তারপরে সে নিজেও গুলি করার আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে পার্লারের এক কর্মী তাকে বাধা দেন। পার্লারের কর্মীরা তাকে ধরারও চেষ্টা করে। তবে সে কোনও রকমে তাদের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায়।
কনের বাবাই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। এসডিপিও (সদর) রাজেশ কুমার পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পরিবারের সকল সদস্য ও বিউটি পার্লারের কর্মীদের বয়ান রেকর্ড করার পর, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে শনাক্ত করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি ফাঁপা এবং দুটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে তারা। এসডিপিও বলেছেন, “পুলিশ প্রতিটি কোণ থেকে বিষয়টি তদন্ত করছে। অভিযুক্তকে শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।” কিন্তু কেন সে হঠাৎ এই পদক্ষেপ করল, তা এখনও অজানা। অপূর্বার সঙ্গে তার আগে কোও পরিচয় বা সম্পর্ক ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে গুলিবিদ্ধ অপূর্বাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন পিএম সহায় জানিয়েছেন, অপূর্বা এখন আশঙ্কামুক্ত। তবে তার একটি সিটি স্ক্যান করা হচ্ছে। ।