কলকাতা: বিজয় দিবসে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানো হয় এই বাংলায়। সে জন্যই ফোর্ট উইলিয়ামে (Fort William) উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর আধিকারিক, মুক্তিযোদ্ধা বাহিনীর সদস্য ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রাক্তন ও বর্তমানরা। সেখানেই চিনের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে ভারতও যে সম্পূর্ণ প্রস্তুত তা বুঝিয়ে দিলেন পূর্বাঞ্চলীয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান।
এদিন ফোর্ট উইলিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বিজয় স্মারকে সম্মান জ্ঞাপন করা হয়।পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, “সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে দ্রুত সামরিক পরিকাঠামো নির্মাণ করছে লাল ফৌজ। গ্রাম তৈরি করছে। কিন্তু যেকোনও পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে শীতের মরশুমেও আমরা সম্পূর্ণভাবে তৈরি।” তিনি বুঝিয়ে দিলেন সমগ্র দেশই সামরিক ভাবে প্রস্তুত।
সম্প্রতি একটি রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে, অরুণাচল সীমান্তের খুব কাছে নতুন করে অন্তত তিনটি গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে ড্রাগন। ভারত,চীন ও ভুটানের সীমান্তে অবস্থিত বুম লা গিরিপথের জংশনে নিজেদের ভূখণ্ডে গত এক বছরে অন্তত তিনটি গ্রাম তৈরি করেছে চিন। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে এ বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি সেখানে ২০টি কাঠামো যুক্ত একটি মাত্র গ্রাম ছিল। কিন্তু ২৮ নভেম্বরের আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আরও অন্তত ৩টি এনক্লেভ তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে গ্রাম তৈরি করেছে আগ্রাসী চিন।
আরও পড়ুন: ‘সরকারের অন্যায় সহ্য করতে না পেরে’ আন্দোলনেই আত্মঘাতী শিখ সন্ত
ফোর্ট উইলিয়ামে পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান অনিল চৌহান এ-ও বলেন, “লাদাখ সীমান্তে চিনা আগ্রাসন ও গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর চীন ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিশ্বাস সম্পূর্ণ উবে গিয়েছে। শীতের জন্য আমরা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনা প্রত্যাহার করছি। পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনে সিকিমে প্রায় অরুণাচল প্রদেশে হাজার কিলোমিটারেরও বেশি সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে দুই দেশ। আমরা জানতে পেরেছি, সিকিমে ও অরুণাচলের কামেং সীমান্তে দ্রুত সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। তবে এদেশের বাহিনীকে সবদিক থেকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সীমান্তের এপারে আমরাও সামরিক এবং সড়ক পরিকাঠামো তৈরি করেছি। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।”