নয়া দিল্লি: বিজেপি ‘ভোট জেতার মেশিন’ নয়, বিজেপি ‘একটি প্রক্রিয়া যা সকলকে একে অপরের সঙ্গে জুড়ে দেয়।’ প্রতিষ্ঠা দিবসে এভাবেই তাঁর দলের বিবরণ দিলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ভারতীয় জনতা পার্টির ৪১-তম প্রতিষ্ঠা দিবসে দলের পদাধিকারী ও পূর্ব পদাধিকারীদের সম্মান জানান নমো। পাশাপাশি একাধিক ইস্যুতে নিশানা করেন বিরোধীদের। মোদী বলেন, “যদি বিজেপি ভোটে জেতে তখন সেটা ভোট জেতার মেশিন হয়ে যায়, অন্যান্য দল যখন জেতে সেটা প্রশংসনীয় হয়ে যায়, যাঁরা এই ধরনের কথা বলেন তাঁরা সংবিধানই বোঝেন না।”
নরেন্দ্র মোদী দাবি করেন, কৃষি আইন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, শ্রম আইনের ‘ভুল ব্যাখ্যা’ করে দেশে ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা’ সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নমো বলেন, “কখনও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়া হবে বলা হচ্ছে, কখনও বলা হচ্ছে কৃষি জমি ছিনিয়ে নেওয়া হবে, যা মিথ্যে।” বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে নরেন্দ্র মোদী জানান, করোনার সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে আত্মনির্ভর হয়ে এক নতুন ভারতের জন্ম হয়েছে। মোদী দাবি করেন, আত্মনির্ভর ভারত ইতিমধ্যেই প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। গরিব, দলিত, মহিলা সকল শ্রেণিকে প্রভাবিত করেছে আত্মনির্ভর ভারত। তিনি বলেন, “বিজেপির মতো গরিবদের আর কোনও দল সংযুক্ত করতে পারেনি।”
কার্যকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য পেশ করার সময় নরেন্দ্র মোদী ৪১ বছর ধরে তাঁদের কঠোর পরিশ্রমকে সম্মান জানান। তিনি বলেন, “গত ৪১ বছরের কঠোর পরিশ্রম সংগঠনকে অভাবনীয় মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে।” সেই সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়ের জনসঙ্ঘ থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি হয়ে ওঠার ইতিহাসের প্রসঙ্গ তুলে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “৪১ বছর প্রমাণ করে কীভাবে সেবা ও সমর্পণের মাধ্যমে কার্যকর্তাদের চেষ্টা একটি দলকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে।”
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, দীনদয়াল উপাধ্যায়, অটলবিহারী বাজপেয়ী ও রাজমাতা সিন্ধিয়া-সহ প্রত্যেককে শ্রদ্ধা জানান নরেন্দ্র মোদী। লালকৃষ্ণ আডবাণী থেকে শুরু করে মুরলী মনোহর জোশী প্রত্যেকে জনতা পার্টিকে লাগাতার আশীর্বাদ করেছেন বলেও জানা নমো। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নীতিকেই এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টি বুঝিয়ে দিয়েছে ব্যক্তি থেকে বড় দল, আর দল থেকে বড় দেশ।”