কেবল উত্তর-পূর্বাঞ্চল নয়, সমগ্র ভারতে ত্রিপুরাকে বিশেষভাবে তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি দেন শুভেন্দু।
কর্মসংস্থান সহ অর্থনতিক, বাণিজ্য, শিক্ষাক্ষেত্রে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ-এর জন্য ফের ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়ার ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু।
বাম-কংগ্রেস জোট ও দুই দলের নেতাদের দলবদল নিয়েও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।
পশ্চিমবঙ্গে সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকার থাকার জন্য নতুন কোনও বিমানবন্দর ও কোনও উন্নয়ন হয়নি, কেবল তোষণবাদ চলছে বলে তোপ দাগেন শুভেন্দুর।
আয়ুষ্মান যোজনা থেকে কৃষকবন্ধু সহ বিজেপির বিভিন্ন প্রকল্প তুলে ধরে শুভেন্দুর তৃণমূলের প্রতি তোপ, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার আয়ুষ্মান যোজনা চালু করেনি। এর ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দিল্লিতে বিজেপির কোনও বিকল্প নেই দাবি জানিয়ে বাম, তৃণমূল জমানায় বাংলায় চাকরি ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে শুভেন্দু বলেন, বহু মানুষ বঞ্চিত হয়েছে।
বিজেপি ছাড়া কোনও দল ৬০টি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।
সিপিএম, কংগ্রেসের আমলে ত্রিপুরা সাক্ষী থেকেছে ঘর পোড়ানো, বাঙালি-অবাঙালি লড়াইয়ের। এখন শান্তি ফিরে এসেছে।
বিজেপি সুশৃঙ্খল দল এবং ডবল ইঞ্জিন সরকার ত্রিপুরাকে একাধিক জাতীয় সড়ক দিয়েছে জানিয়ে শুভেন্দুর দাবি, বিমানবন্দরের উন্নয়ন করেছে, ত্রিপুরাকে কেন্দ্র করে একাধিক রেল প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে সামগ্রিক উন্নয়ন হয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে ডবল ইঞ্জিন সরকারের জন্য।
ত্রিপুরাবাসীকে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল প্রার্থীরা যাতে সিকিউরিটি টাকাও ফেরত না পান, তা দেখার দায়িত্ব আপনাদের।”
এদিন বক্তব্যের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রাকে কটাক্ষ করে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নোটার থেকেও কম ভোট পাবেন। জেতার লোক রাধাকিশোরপুরে আর হারার লোক আগরতলায়।”
এদিন মঞ্চে উঠে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনি দিয়ে সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেনম শুভেন্দু অধিকারী।