আগরতলা: চলতি মাসেই ত্রিপুরায় গিয়ে জনসভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর আগামী মাসেই ত্রিপুরায় যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, অরাজনৈতিক কাজেই ত্রিপুরা যাচ্ছেন শুভেন্দু। একটু পুজোর উদ্বোধনে যাবেন তিনি। তবে, একদিকে যখন বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মাটি কামড়ে পড়ে আছে তৃণমূল, তার মধ্যে শুভেন্দুর ত্রিপুরা সফর নিছক অরাজনৈতিক বলে মনে করছে না রাজনৈতিক মহল। অক্টোবরে ত্রিপুরা যাবেন শুভেন্দু। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে পুজোর উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন শুভেন্দু।
পদ্ম শিবির সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১০ অক্টোবর ত্রিপুরায় শুভেন্দুর কর্মসথচি রয়েছে। তিনি ও ত্রিবিপ্লব দেব একটি পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। যদিও এখনও পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের তরফে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা জানা যায়নি, তবে শুভেন্দু অধিকারীর মতো রাজ্য বিজেপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার কোনও না কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকবে বলেই রাজনৈতিক মহলের দাবি। বিজেপি সূত্রে খবর, ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটের দিকে যতই এগোবে ততই রাজ্য বিজেপি নেতাদের একে একে নিয়ে যাওয়া হতে পারে ত্রিপুরায়।
প্রতিবেশী এই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। আর সেখানে গুরুত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে তৃণমূল। কাকলি ঘোষ দস্তিতার, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন, অর্পিতা ঘোষের মতো তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা সাম্প্রতিককালে বারবার ছুটে গিয়েছে ত্রিপুরায়। একাধিকবার ঘাসফুল শিবিরের নেতারা আক্রান্তও হয়েছেন। এমনকি খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতেও বাধা দেওয়া হয় ত্রিপুরায়। এরই মধ্যে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে যে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরায় জনসভা করবেন অভিষেক।
অগস্ট মাসেই একাধিকবার ত্রিপুরায় যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমবার সেখানে গিয়েই বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এ দিকে, তৃণমূলের উপরে হামলার সমালোচনা করার পর থেকেই রাজ্যের বিরোধী দল সিপিএমের উপরও হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক জায়গায় দলীয় কার্যালয় ও গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সরাসরি সিপিএমের নাম উল্লেখ না করলেও হামলার সমালোচনা করে টুইট করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বুধবার রাতে হামলার ঘটনার নিন্দা করে টুইটে অভিষেক লেখেন, “হিংসা এবং গুণ্ডামি এমনভাবে বিজেপির মজ্জাগত যে তারা গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকেও নৃশংসভাবে আক্রমণ করতে ছাড়ছে না”।
বৃহস্পতিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে একটি মিছিল বের করেন ত্রিপুরায় থাকা সুস্মিতা দেব, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। ঘটনার সমালোচনা করে সুস্মিতা দেব বলেন, “সংবাদ সংস্থার অফিসে এই ধরনের হামলা নজিরবিহীন। বিজেপি এবং ত্রিপুরা সরকারের এই বিষয়ে লজ্জা পাওয়া উচিত। এবার সেই ত্রিপুরাায় বিজেপি কী কর্মসূচি গ্রহণ করে সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: শরীর জুড়ে দগদগে ক্ষত, ভেন্টিলেটরে ৩৩ ঘণ্টার লড়াই শেষ মুম্বইয়ের নির্ভয়ার