দিশা রবির সঙ্গে আজমল কসাবের তুলনা বিজেপি সাংসদের

সুমন মহাপাত্র |

Feb 16, 2021 | 12:00 PM

দিশাকে মুম্বই হামলায় সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি আজমল কসাবের সঙ্গে তুলনা করলেন ৩ বারের বিজেপি সাংসদ পিসি মোহন।

দিশা রবির সঙ্গে আজমল কসাবের তুলনা বিজেপি সাংসদের
ফাইল চিত্র

Follow Us

নয়া দিল্লি: কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে টুলকিট শেয়ার করে টুইট করেছিলেন পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। সেই একই টুলকিট শেয়ার করেছিলেন বেঙ্গালুরুর পরিবেশকর্মী দিশা রবিও। তারপর গ্রেফতার হতে হয়েছে ২১ বছরের পড়ুয়াকে। এ বার দিশাকে মুম্বই হামলায় সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি আজমল কসাবের সঙ্গে তুলনা করলেন ৩ বারের বিজেপি সাংসদ পিসি মোহন। টুইট করে মধ্য বেঙ্গালুরু লোকসভার সাংসদ লিখেছেন, “বুরহান ওয়ানিরও বয়স ২১ ছিল, আজমল কসাবের বয়সও ২১ ছিল। বয়স শুধুমাত্র সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই না। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।”

দিশার গ্রেফতারির কারণ হিসাবে দিল্লি পুলিশ জানায়, একটি খলিস্তানি গোষ্ঠী তৈরি করার চেষ্টা করছিলেন এবং খলিস্তানি আন্দোলনে মদত জোগাচ্ছিলেন দিশা রবি। গুরপ্রিত সিং পান্নুর মতো জঙ্গি ও “পোয়েটিক জাস্টিস” নামক খলিস্তানি গোষ্ঠীকে প্রভাবিত করার চেষ্টাও করেছিলেন দিশা, এমনটাই অভিযোগ।

দিশার গ্রেফতারিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে সারা দেশজুড়ে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এই গ্রেফতারিতে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তাঁর সঙ্গে বুরহান ওয়ানি, আজমল কসাবের তুলনা টেনেছেন পিসি মোহন। বুরহান ওয়ানি ছিল হিজবুল জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। তাকে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে খতম করেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলায় আজমল কাসবকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ২৬/১১-র সেই কুখ্যাত হামলায় আর কেউ হাতে না এলেও পুলিশের হাতে এসেছিল কসাব। পরে ২০১২ সালে আদালতের নির্দেশে ফাঁসি হয় তার।

আরও পড়ুন: নজরে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট, নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন মোদী

দিশা রবিকে গ্রেফতার করার পর দিল্লি কোর্টে পেশ করেছিল পুলিশ। সেখানে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। দিশা রবির গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেছেন এনসিপি, আপ ও শিব সেনার সাংসদরা। ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে দিশার গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করে বাকস্বাধীনতার সওয়াল করেছেন। ২১ বছরের পড়ুয়ার গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করে গণতন্ত্রের উপর হামলা বলে তোপ দেগেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।

Next Article