নয়া দিল্লি: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের কারণে পশ্চিমবঙ্গের একটা অংশে জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে। লোকসভায় এমনই অভিযোগ তুললেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাই বাংলা ও বিহারের কয়েকটি জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের দাবিও তুললেন সাংসদ। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বিহারের কাটিহার, আরারিয়া ও কিষানগঞ্জকে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপি সাংসদের দাবি, এই এলাকায় সংখ্যালঘুদের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই এলাকাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল না করলে হিন্দুদের অস্তিত্ব থাকবে না বলে উল্লেখ করেছেন নিশিকান্ত।
সাংসদের দাবি, বাংলা থেকে পুলিশ গিয়ে ঝাড়খণ্ডে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করছে। তার জেরে সংঘর্ষও হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। নিশিকান্ত বলেন, “বাংলা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পুলিশ ঝাড়খণ্ডে গিয়ে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করছে। একটা কথাও যদি মিথ্যা হয়ে থাকে, তাহলে আমি ইস্তফা দেব।”
এরপরই তিনি বলেন, “মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বিহারের কাটিহার, আরারিয়া ও কিষানগঞ্জ জেলাগুলিকে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হোক। নাহলে হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে। এনআরসি লাগু করুন। প্রয়োজন হলে কেন্দ্র থেকে একটি টিম পাঠান। নিয়ম জারি করুন, যাতে ধর্মান্তকরণ করে বিয়ের জন্য অনুমতি নিতে হয়।”
গতকাল, বুধবার বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, উত্তর-পূর্বের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হোক উত্তরবঙ্গের আটটি জেলাকে। তিনি চান ওই আট জেলা উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে চলে আসুক। তবে উত্তরবঙ্গের উন্নতি সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। এই আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও গিয়েছিলেন তিনি। সুকান্তর দাবি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল সাংসদরা সুকান্তর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ বলে আলাদা কোনও ভূখণ্ডের যে অস্তিত্ব নেই, সে কথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেই আবহেই এবার নতুন দাবি তুললেন নিশিকান্ত দুবে।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের দাবি, বিজেপি যেখানে সংগঠন তৈরি করতে পারছে না, সেখানে এভাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির দাবি তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, “বিজেপি আলাদা কিছু করছে, মানেই বুঝবেন সেখানে সংগঠন নেই বলে এসব করা হচ্ছে।”