‘বিদেশি কায়দায় ইংরেজি বললেই সংসদকে অপমান করার অধিকার জন্মায় না’, শশী থারুরকে সরাতে চিঠি সাংসদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jul 28, 2021 | 4:41 PM

সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নজরদারির জন্য তৈরি সংসদীয় প্যানেলের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন শশী থারুর। তাঁকে সরানোর দাবি জানালেন বিজেপি সাংসদ।

বিদেশি কায়দায় ইংরেজি বললেই সংসদকে অপমান করার অধিকার জন্মায় না, শশী থারুরকে সরাতে চিঠি সাংসদের
ফাইল চিত্র

Follow Us

নয়া দিল্লি: সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নজরদারির জন্য গঠিত আইটি প্যানেলের চেয়ারম্যান পদ থেকে অবিলম্বে সরানো হোক শশী থারুরকে। এমন দাবি জানিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। কংগ্রেস সাংসকে সরিয়ে সংসদের নিয়ম মেনে অন্য কোনও সাংসদকে ওই প্যানেলের মাথায় বসানোর আর্জি জানালেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, ‘শুধু বিদেশ উচ্চারণে কঠিন ইংরেজি বললেই কারও সংসদকে অপমান করার স্বাধীনতা জন্মায় না। তাঁর দাবি, নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে সংবিধানকে অপমান করছেন শশী থারুর।’

বিজেপি সাংসদের দাবি, প্যানেলের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে শশীর কাজে পেশাদারিত্ব দেখা যায়নি। বিজেপিকে বদনাম করার উদ্দেশ্যে গুজব ছড়ানোই তাঁর কাজ। অধ্যক্ষকে দেওয়া চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘এই কমিটির মাথায় শশী থারুরকে রাখা ঠিক হবে না।’ এ দিন লোকসভায় দুবে ও শশী থারুর দু’জনেই একে অপরের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। বিজেপি সাংসদের আরও দাবি, ‘ওই সংসদীয় প্যানেলকে কংগ্রেস দলের বর্ধিত অংশ বলে মনে করছেন শশী থারুর।’

গতকাল, মঙ্গলবার সংসদে তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপির সাংসদরা। এই স্ট্যান্ডিং কমিটিরই চেয়ারম্যান কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। তিনিই এই বৈঠকে ডেকেছিলেন। তবে তাতে যোগ দেননি না বিজেপি সাংসদরা। জানা গিয়েছে সরকারের সঙ্গে পেগাসাস ইস্যুতে আলোচনা করতেই এই বৈঠক ডেকেছেন শশী। তাঁর দাবি, এই প্যানেলের পেগাসাস ইস্যু নিয়ে আলোচনার অধিকার আছে।

বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, ‘একদিকে যখন সংসদের অধিবেশন চলছে। সাংসদ হিসেবে তখন আমাদের দায়িত্বই হল সংসদ সচল রাখা। অথচ এরকম একটা সময়ে কী ভাবে এই বৈঠক ডাকা হল?’ তাঁর দাবি, আগেও এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন তিনি। আরও পড়ুন: ‘সিনেমার ডায়লগে হিংসা ছড়ায় না’, মিঠুন মামলায় ‘শোলে’র উদাহরণ টেনে পর্যবেক্ষণ আদালতের

Next Article