নয়া দিল্লি: তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালের ফল প্রকাশের আগেই ভারতে আপদকালীন অনুমোদন পেয়েছে কোভ্যাকসিন (Covaxin)। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় ইতিমধ্যে সুর চড়িয়েছেন একাধিক কংগ্রেস নেতা। ভ্যাকসিনের পক্ষে সওয়াল করে পাল্টা দিয়েছে পদ্ম শিবিরও। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ভ্যাকসিন প্রসঙ্গেও ক্রমও চড়ছে রাজনৈতিক পারদ।
কংগ্রেস সাংসদ শশী থরুর টুইট করে লিখেছেন, “কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। আগে অনুমোদন বিপজ্জনক হতে পারে।” এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে বিবৃতি দেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কেন কোভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণবিধি নিয়ে গোলযোগ দেখা দিচ্ছে! প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জয়রাম রমেশ টুইট করে হর্ষ বর্ধনের কাছে এই প্রসঙ্গেও বিবৃতি চেয়েছেন।
The Covaxin has not yet had Phase 3 trials. Approval was premature and could be dangerous. @drharshvardhan should please clarify. Its use should be avoided till full trials are over. India can start with the AstraZeneca vaccine in the meantime. https://t.co/H7Gis9UTQb
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) January 3, 2021
কংগ্রেস নেতা সলমন নিজামিও ১৩০ কোটি ভারতবাসীকে ঝুঁকিতে ফেলার প্রসঙ্গ তুলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে বিবৃতির আর্জি করেছেন। গতকাল সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব জানিয়েছেন করোনা (Coronavirus) শরীরে বাসা বাঁধলেও তিনি ‘বিজেপির কোভিড ভ্যাকসিন’ নেবেন না।
আরও পড়ুন: দিল্লির হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় খালি গায়ে প্রতিবাদ কৃষকদের
Congress and the Opposition is not proud of anything Indian. They should introspect about how their lies on the COVID-19 vaccine will be used by vested interest groups for their own agendas.
People of India have been rejecting such politics and will keep doing so in the future.— Jagat Prakash Nadda (@JPNadda) January 3, 2021
এমতাবস্থায় যখন করোনা প্রতিষেধকে রাজনীতির ছোঁয়া লাগছে, তখন পাল্টা দিতে ছাড়েনি কেন্দ্রের শাসক দলও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি টুইট করে কটাক্ষের সুরে জানিয়েছেন, আগে জয়রাম, থরুর, অখিলেশদের সেনা নিয়ে প্রশ্ন ছিল এখন প্রতিষেধক নিয়েও। কংগ্রেসের বিরোধিতার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সবাপতি জেপি নড্ডা। টুইটে তিনি লিখেছেন, “ভারতের কিছু নিয়েই কংগ্রেস ও বিরোধী দলনেতার গর্বিত নন, রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য প্রতিষেধক নিয়ে তাঁরা যে মিথ্যা কথা বলছেন। মানুষ এই রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে ভবিষ্যতেও করবে।”