
নয়াদিল্লি: ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করে সরব বিরোধীরা। এবার ওয়াকফ আইন নিয়ে পাল্টা দেশব্যাপী প্রচারে নামছে বিজেপি। আর কয়েকমাস পর বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তারপর বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে বাংলায়। এই বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ওয়াকফ আইন নিয়ে দেশব্যাপী প্রচারে জোর দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। আগামী ২০ এপ্রিল থেকে সংখ্যালঘু মহল্লায় শুরু হবে প্রচার।
সংসদের সদ্য সমাপ্ত বাজেট অধিবেশনে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ হয়। ওয়াকফ বিল পাশ হওয়াকে ‘অভূতপূর্ব মুহূর্ত’ বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “এতদিন যাঁরা প্রান্তিক ও বঞ্চিত ছিলেন, নতুন এই বিল তাঁদের সাহায্য করবে। দশকের পর দশক দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতার অভাবের সমার্থক ছিল ওয়াকফ ব্যবস্থা। মুসলিম মহিলা, দরিদ্র মহিলা এবং পসমন্দা মুসলিমদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংসদে যে বিল পাশ হয়েছে, তা স্বচ্ছতা বাড়াবে এবং মানুষের অধিকার সুরক্ষিত করবে।” গত মঙ্গলবার থেকে দেশে কার্যকর করা হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী আইন।
ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে। আবার বাংলায় এই আইন কার্যকরী হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আবার ওয়াকফ আইন নিয়ে আগামী ১৬ এপ্রিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার পাল্টা দেশজুড়ে ওয়াকফ আইনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রচার চালাবে বিজেপি। আদতে সমাজের পিছিয়ে পড়া পসমন্দা মুসলিমদের স্বার্থেই যে এই বিল আনা হচ্ছে, তা প্রচার করা হবে। জানা গিয়েছে, প্রত্যেক রাজ্যে মুসলিম সংগঠনগুলির সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করা হবে। প্রত্যেক বড় শহরে সাংবাদিক বৈঠক করবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব।
এই প্রচারের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ওয়াকফ বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির সদস্য তথা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রাধামোহন দাস আগরওয়ালের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য,
ওয়াকফ আইন নিয়ে মুসলিম জনসমাজে ভ্রান্ত ধারণা দূর করতেই প্রচার অভিযানে নামবে এই কমিটি। আগামী ৫ মে পর্যন্ত এই প্রচার চলবে বলে জানা গিয়েছে।