নয়া দিল্লি: ব্রিটেন থেকে ৩০ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন রূপ। ভারতেও নতুন ‘স্ট্রেনে’ আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ জন। ব্রিটেনে সংক্রমণ এতটাই বেড়েছে, তড়িঘড়ি জাতীয় লকডাউন ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnshon)। প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারতের প্রধান অতিথি হিসাবে দেশে আসার কথা বরিসের। তবে ব্রিটেনে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের ফলে সেখানেও ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সূত্রের খবর, জানুয়ারিতেই ভারতে আসছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
গত মাসেই প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির কুচকাওয়াজে ভারতের আমন্ত্রন সাদরে গ্রহণ করেছিলেন বরিস জনসন। বিবৃতি দিয়ে তাঁর ভারতে আসার উৎসাহের কথাও জানিয়েছিলেন। বিবৃতিতে তিনি লিখেছিলেন, “আমি ভারত সফরের মাধ্যমে গ্লোবাল ব্রিটেনের বছর শুরু করার জন্য উৎসাহী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিসাধনে আমি বদ্ধপরিকর।”
বরিস জনসন এ-ও জানিয়েছিলেন, এশিয়ায় ব্রিটেনের সঙ্গী হিসাবে অভূতপূর্ব ভাবে উঠে এসেছে ভারত। চাকরি থেকে শুরু করে বিশ্বকে রক্ষা করার জন্য যে কোনও হুঁশিয়ারি সবটাই একযোগে লড়ার বার্তাও দিয়েছিলেন বরিস।
ব্রিটেনে করোনার নতুন ‘স্ট্রেন’ ধরা পড়ার পর ব্রিটিশ মেডিক্যাল অ্যসোসিয়েশনের প্রধান ডঃ চাঁদ নাগপাল সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, হয়ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর হবে না। কিন্তু সূত্রের খবর এখনও বরিসের দ্বিপাক্ষিক সফরের কোনও পরিবর্তন হয়নি। করোনার নতুন স্ট্রেনের পাশাপাশি ভারতের আন্দোলনরত কৃষকরাও জানিয়েছিলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ভারতে না আসার আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: জোড়া প্রতিষেধকে অনুমোদন! ‘ভারতের নেতৃত্বে করোনা যুদ্ধের’ প্রশংসায় বিল গেটস, হু প্রধান
করোনা আবহেও একাধিকবার ভারতের প্রশংসা করেছেন বরিস জনসন। কয়েক দিন আগে তিনি ভারতের ভ্যাকসিন প্রযুক্তির প্রশংসা করে ‘ফার্মাসি অব দ্য ওয়ার্ল্ডের’ তকমা দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, বিশ্বের ৫০ শতাংশ প্রতিষেধকের চাহিদা পূরণ করবে ভারত।