Brain Rot: ঘণ্টার পর ঘণ্টা Reels, Shorts দেখেন, মাথার ঘিলু যে পচে যাচ্ছে, সে খবর রাখেন!
Social Media Use: করোনা-কালে আইসোলেশনের সময় একটা নতুন শব্দের জন্ম হয়েছিল, ডুমসস্ক্রোলিং। মানে কোনও উদ্দেশ্য ছাড়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়ায় পড়ে থাকা। অপ্রোয়জনীয় জিনিস, বিশেষ করে অতিরিক্ত মাত্রায় রিলস, শর্টস দেখা। অক্সফোর্ড বলছে এই ডুমসস্ক্রোলিংয়ের আউটকাম হল ব্রেন রট বা মাথায় পচন।

২০২৪-র ডিসেম্বরে দাঁড়িয়ে আমরা। শেষ হতে চলল আরও একটা বছর। সারা বছর কী নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হল, কোন একটা শব্দে ফেলে আসা বছরটাকে আমরা সবচেয়ে ভালোভাবে ধরতে পারি, কোন বিষয়টা গত ৩৬৫ দিন, আমাদের জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলল, এ বিষয়ে ইঙ্গিত দেয় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের “ওয়ার্ড অফ দ্য ইয়ার”। অক্সফোর্ড জানিয়েছে, ২০২৪ সালে তাদের বিচারে ওয়ার্ড অফ দ্য ইয়ার হল, ‘ব্রেন রট’। মানে মস্তিষ্কে পচন। মাথার ঘিলু পচে যাওয়া। তো সেই জিনিসটা কীরকম, বিপদ কত গভীরে পৌঁছে গিয়েছে, জানেন?
করোনা-কালে আইসোলেশনের সময় একটা নতুন শব্দের জন্ম হয়েছিল, ডুমসস্ক্রোলিং। মানে কোনও উদ্দেশ্য ছাড়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়ায় পড়ে থাকা। অপ্রোয়জনীয় জিনিস, বিশেষ করে অতিরিক্ত মাত্রায় রিলস, শর্টস দেখা। অক্সফোর্ড বলছে এই ডুমসস্ক্রোলিংয়ের আউটকাম হল ব্রেন রট বা মাথায় পচন। ব্রেন রট-কে ওরা ব্যাখ্যা করছে এই বলে যে অকারণে সারাদিন অনলাইন থাকতে গিয়ে মানুষের মানসিক অবস্থা বদলে যাচ্ছে। স্বাভাবিক বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে পারছে না। হারিয়ে যাচ্ছে সৃষ্টিশীলতা। মানবিক গুণগুলিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভাবনাচিন্তার ক্ষমতা চলে যাচ্ছে।
যার মধ্যে এই লক্ষণগুলো দেখা যাবে, তার ব্রেন রট হয়ে গিয়েছে। মানে মাথার ঘিলু পচে গিয়েছে। আর এই পচনের শিকার সবচেয়ে বেশি হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম, যাদের হাতেই আগামী দিনে দেশ গড়ার ভার। কোনও কারণ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ডুবে থাকা কতটা বিপজ্জনক তা নিয়ে গত একটা বছরে অসংখ্য স্টাডি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তার প্রায় সবেতেই দেখা গেছে, ক্যানসারের চেয়েও ভয়ঙ্কর এই সর্বক্ষণ অনলাইন থাকার প্রবণতা। আর তাই ‘ব্রেন রট’-কে ‘ওয়ার্ড অফ দ্য ইয়ারে’র তকমা দিয়ে সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করল অক্সফোর্ড। শুধু মাথা পচে যাওয়া নয়। সোশ্যাল মিডিয়া ডেকে আনছে আরও হাজারো রকমের বিপদ।

