
নয়া দিল্লি: লাগাতার উসকানি, অনুপ্রবেশের চেষ্টা। সীমান্তে বাধা পেলেই বিএসএফের উপরে হামলা। এটাই চরিত্র হয়ে গিয়েছে নতুন বাংলাদেশের। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে অসুরক্ষিত যে জায়গাগুলি রয়েছে, সেখানে কাঁটাতার দিতে গেলেও বারবার বিজিবির বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিএসএফ-কে। সীমান্তে উত্তপ্ত এই পরিস্থিতির মাঝেই আজ, সোমবার দিল্লিতে বসছে বিএসএফ ও বিজিবি-র ডিজি পর্যায়ের বৈঠক।
১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সীমান্ত কাঁটাতার বিহীন এলাকায় কাটাতার দেওয়া , অনুপ্রবেশ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকদের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা। বাংলাদেশের তরফেও সীমান্তে অশান্তি বন্ধ করা সহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে।
গত বছরের অগস্ট মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে একাধিকবার দুই দেশের সীমান্তে অশান্তি হয়েছে। বিএসএফের ওপর একের পর এক হামলা হয়েছে। কখনও অনুপ্রবেশকারীদের হামলা, কখনও আবার কাঁটাতার দিতে গিয়ে বিজিবি-র বাধা, নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে। এইসব নিয়েই আজ বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে। জানানো হয়েছে, গত জানুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে যে সকল সমস্যার উদ্ভব হয়েছে সেসব বিষয় গুরুত্ব পাবে বৈঠকে।
বৈঠকে ভারতীয় পক্ষের নেতৃত্ব দেবেন ডিজি বিএসএফ দলজিৎ সিং চৌধুরী এবং বিজিবি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন মেজর জেনারেল মহম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। দুইদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে আরও ভাল সমন্বয়ের জন্য এই সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে বলে বিএসএফ তরফে জানানো হয়েছে।
এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়ে হচ্ছে। সম্প্রতিই একটি রিপোর্টে বিগত কয়েক মাসের মধ্যে ৮০০ বারের বেশি হামলার অভিযোগ সামনে এসেছে। আবার বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর দাবি, বিএসএফ তাদের ভূখণ্ডে ঢুকে অহেতুক অশান্তি তৈরি করছে। সীমান্তে বিএসএফের অতিসক্রিয়তা নিয়ে সরব তারা। এই মুখোমুখি বৈঠকে বিএসএফ-বিজিবি সীমান্ত নিয়ে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়, তাই-ই দেখার।