জম্মু: ফের ড্রোনের দেখা মিলল জম্মু-কাশ্মীরে। ১৩ জুলাইয়ের রাতে জম্মুর আর্ণিয়া সেক্টরের কাছে একটি লাল আলো দেখতে পান নিরাপত্তাবাহিনী। সঙ্গে সঙ্গে ওই আলো লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। আকাশপথেই ফিরে যায় ওই রহস্যজনক বস্তুটি। এই ঘটনার পরই গোটা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী। তবে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে।
২৭ জুন জম্মু বিমানঘাঁটিতে জোড়া বিস্ফোরণের পর থেকেই উপত্যকায় ড্রোনের দৌরাত্ব বেড়েছে। পরপর চারদিন দেখা মিলেছিল ড্রোনের। অন্যদিকে, ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের চত্বরেও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালাতে দেখা যায়, যা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয় নয়া দিল্লি। কিছুদিন শান্ত থাকার পরই এ দিন ফের রহস্যজনক উড়ন্ত বস্তু দেখা গেল জম্মুতে। ওই বস্তুটি ড্রোন বলে সন্দেহ করা হলেও নিশ্চিতভাবে কিছু জানাতে পারেনি বিএসএফ বাহিনী।
J&K | On intervening night of July 13-14th, a blinking red light was observed by troops in Arnia sector. Alert troops fired from their position towards red blinking light, due to which it returned back. The area being searched. Nothing found so far: Border Security Force (BSF)
— ANI (@ANI) July 14, 2021
বিএসএফের প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫২ মিনিট নাগাদ আর্ণিয়া সেক্টরে একটি লাল আলো জ্বলতে নিভতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীদের সতর্ক করা হয় এবং ওই আলো লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এরপরই ওই ড্রোনটি পাকিস্তানের দিকে ফিরে যায়। এরপরই গোটা এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়। তবে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি।
গত ২৭ জুন প্রথমবার দেশে ড্রোন হামলা চলে। রাতের অন্ধকারে ৬ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া বিস্ফোরণ হয়েছিল জম্মুর বায়ুসেনার বিমানঘাঁটিতে। পরে এই বিস্ফোরণের তদন্তভার যায় এনআইএ। বিস্ফোরণের পরের দিনই অর্থাৎ ২৮ জুনের মধ্যরাতে ফের দুটি ভিন্ন ড্রোনের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায় রত্নুচক-কালুচক মিলিটারি এলাকায়। নিরাপত্তাবাহিনীদের নজরে পড়তেই ড্রোনগুলি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়, তবে দুটি ড্রোনই পালিয়ে যায়। আরও পড়ুন: ‘অপেক্ষা কেবল সবুজ সংকেতের’, চেয়েও ভারতে ভ্যাকসিন পাঠাতে পারছে না আমেরিকা
এরপর ২৯ জুনও জম্মুর মিলিটারি ক্যাম্পের কাছে দুটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালান সেনা আধিকারিকরা। পালিয়ে যায় ড্রোনগুলি। গভীর রাতে জম্মুর রত্নুচক এলাকায় সুঞ্জবান সেনাঘাঁটিতেও ড্রোনের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। কয়েক দিনের ব্যবধানে ফের ২ জুলাই ভোরবেলায় জম্মু-কাশ্মীরের আর্নিয়া সেক্টর(Arnia Sector)-র কাছে ড্রোনের দেখা মেলে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী সঙ্গে সঙ্গে ওই ড্রোনটি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পাকিস্তান সীমান্তের দিকে ফিরে যায় ওই ড্রোনটি। সেই সময় বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানানো হয়েছিল, সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্যই ওই ড্রোনটি পাঠানো হয়েছিল।